আইসিএমআর সোমবারই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, চিনের গুয়াংঝু ওন্ডফো বায়োটেক ও ঝুহাই লিভজন ডায়াগনস্টিকস থেকে যে সব টেস্ট কিট এসেছে, সেগুলি ব্যবহার না করতে, কারণ সেগুলি পুরোপুরি নষ্ট। এই ২ সংস্থা থেকে ৫ লাখের মত অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট কিনেছে ভারত।
এ ব্যাপারে কি কোনও তদন্তের নির্দেশ দেবে চিন সরকার? চিনা বিদেশ মন্ত্রক কোনও স্পষ্ট জবাব দেয়নি। শুধু বলেছে, ভারত আর চিন করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এক সঙ্গে কাজ করছে। নির্দিষ্ট এই ঘটনায় ভারত সরকার ওই ২ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা মিটিয়ে ফেলবে বলে তাদের আশা। তবে ভারত-চিন প্রশাসনিক যোগাযোগ বরাবরই থাকবে।
চিন আরও বেশি করে জিনিসপত্র ও অভিজ্ঞতা সরবরাহে রাজি বলেও তারা জানিয়েছে।
চিনা বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে, ওই ২ সংস্থা বিবৃতি দিয়ে বলেছে, তাদের কুইক টেস্ট কিট ন্যাশনাল মেডিক্যাল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ চায়না স্বীকৃতি দিয়েছে, আইসিএমআর-এর সঙ্গে যুক্ত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি-ও এর গুণমান খতিয়ে দেখেছে। বেজিংয়ের বক্তব্য, ভারত-চিন সম্পর্ক যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ। চিন তাদের অভিজ্ঞতা ভারতের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে, চিকিৎসাগত সাহায্যও করেছে। তাদের আশা, ভারতীয়রা ঠিকমত তথ্য দেবেন ও এ ধরনের সমস্যা ঠিকমত মেটাতে চিনাদের সঙ্গে আরও যোগাযোগ বাড়াবেন।
বেজিংয়ে অবস্থিত ভারতীয় আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দিল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলি নষ্ট কিটের বিষয়টি দেখছে।
আইসিএমআর চিনা কিটের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ায় তারা গভীরভাবে চিন্তিত বলে ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছে ভারতের চিনা দূতাবাস। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চিনা কিট ও করোনার ওষুধপত্রের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।