নয়া দিল্লি : তৃতীয় ঢেউ এগিয়ে আসছে। সোমবার এই সতর্কবার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতাধীন ন্যাশনাল ইনস্টটিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমাও করেছে। তাতে এনআইডিএম(ন্যাশনাল ইনস্টটিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট)-এর তরফে বলা হয়েছে, অক্টোবরেই শিখরে পৌঁছতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি আরও ভাল চিকিৎসা পরিকাঠামোর দাবি জানিয়েছে। প্রধানত শিশুদের ক্ষেত্রে। কারণ, এবার প্রাপ্ত-বয়স্কদের মতো তাদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছ। 


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তৈরি এই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রচুর সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হলে যে হারে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও ভেন্টিলেটর-অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন পড়বে তার ধারেকাছেও আমরা নেই। এর পাশাপাশি রিপোর্টে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শিশুদের টিকাকরণের কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে সেইসব শিশুর জন্য যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে। নজর দিতে হবে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের প্রতি। রিপোর্টে শিশুদের ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, দেশে করোনায় ফের ৩০ হাজারের নীচে নেমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের পাশাপাশি কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। প্রায় ৫ মাস পর অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও নেমেছে ৩ লক্ষের নীচে। তবে এর পাশাপাশি রয়েছে আশঙ্কার বার্তাও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৭২ জন ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮৯।  দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৫৬ জন।  মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩০৬ জন। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯২৪।


এদিকে নীতি আয়োগের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে করোনা সংক্রমণ শিখর ছুঁতে পারে এবং দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা  ৪ থেকে পাঁচ লক্ষ হয়ে যেতে পারে। আর এরমধ্যে প্রতি ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে ২৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হতে পারে। নীতি আয়োগ বলেছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুই লক্ষ আইসিইউ বেড প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজন।