নয়া দিল্লি : কোভ্যাক্সিনের আপৎকালীন ব্যবহারের ছাড়পত্রের বিষয়টি বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আটকে রয়েছে। তবে, আজই এব্যাপারে তাদের মতামত জানিয়ে দিতে পারে WHO। সংস্থার ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাডভাইসরি প্যানেল - টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ এব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
 
সম্প্রতি কোভ্যাক্সিন উৎপাদনকারী ভারত বায়োটেকের কাছে অতিরিক্ত ব্যাখ্যা চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর আগে শোনা গিয়েছিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল কমিটি কোভ্যাক্সিনকে আপৎকালীন ব্যবহারের ছাত্রপত্র দিতে পারে। সংস্থার মুখপাত্র একথা জানিয়েছিলেন। টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ ভারত বায়োটেকের নথি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছিলেন মার্গারেট হ্যারিস।


আরও পড়ুন : কোভ্যাক্সিনের আপৎকালীন ব্যবহারের ছাড়পত্রের জন্য আরও ব্যাখ্যা চাইল WHO


এদিকে কোভ্যাক্সিন এখনও অনুমোদন না পাওয়ায় লক্ষ লক্ষ ভারতীয় ট্রাভেল করতে পারছেন না। হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। গত ১৯ এপ্রিল তারা আপৎকালীন ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করে। কিন্তু হু-এর তরফে জানানো হয়েছে, সবুজ সংকেত দেওয়ার আগে তাদের সংস্থার কাছ থেকে আরও নথি প্রয়োজন। হু-এর সম্মতি ছাড়া দুই ডোজের এই ভ্যাকসিনের বিশ্বজুড়ে গ্রহণযোগ্যতা বা বৈধতা তৈরি হবে না।


আরও পড়ুন ; দেশের ৪০-টির বেশি জেলায় টিকাকরণের হার কম, আজ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী


এদিকে সম্প্রতি ২ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের জন্য কোভ্যাক্সিনের আপৎকালীন ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে কোভিড ১৯ সংক্রান্ত সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি। ভারত বায়োটেক ১৮ বছরের কম বয়সের ক্ষেত্রে তাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সম্পূর্ণ করে। গত সেপ্টেম্বরে এই ট্রায়াল পর্ব সম্পূর্ণ হয়েছে। গত মাসের শুরুতে ট্রায়াল সংক্রান্ত তথ্য ড্রাগস অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেল (ডিজিসিআই)-এর কাছে জমা দিয়েছিল ভারত বায়োটেক। 


প্রসঙ্গত, দেশের ৪০টির বেশি জেলায় ধীর গতিতে চলছে টিকাকরণ। এই সমস্ত জেলার প্রশাসনিক আধিকারকিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একাধিক মুখ্যমন্ত্রীও বৈঠকে যোগ দিতে পারেন। আজ দুপুর ১২টায় ভার্চুয়ালি ওই বৈঠক রয়েছে।