নয়া দিল্লি : করোনা টিকাকরণের প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করায় ভারতের প্রশংসা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ট্যুইটার হ্যান্ডেল পেজ থেকে ট্যুইট করে ভারতের প্রশংসা করা হয়েছে।


দেশে করোনা ভ্যাকসিনেশন কভারেজ আজ ৭৪.৮৮ কোটির পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে যাওয়ায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যও। এই টিকা অভিযানকে "বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা অভিযান" বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তাঁর মতে, এটা ক্রমাগত নতুন মাত্রা তৈরি করছে।


স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩,৩৮,৯৪৫ ভ্যাকসিন ডোজের জেরে দেশে টিকাকরণের সংখ্যা ৭৪.৩৮ কোটি অতিক্রম করল। সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত এই রিপোর্ট। 


সম্প্রতি মৃত্যু প্রতিরোধে করোনা টিকাকরণের গুরুত্ব নিয়ে নতুন গবেষণা সামনে এনেছে ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। তাদের তরফে পৃথক তিনটি গবেষণায় ভ্যাকসিনের উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে। এজেন্সির মর্বিডিটি ও মর্টালিটি উইকলি রিপোর্টে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।


গবেষণা অনুযায়ী, যাঁরা করোনার ভ্যাকসিন নেননি, তাঁদের এই সংক্রমণে মৃত্যুর সম্ভাবনা ১০ গুণ বেশি, যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের থেকে। দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ মানুষকেই করোনার টিকা সুরক্ষা দিচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যু থেকে সুরক্ষা দিচ্ছে ভ্যাকসিন। এমনকী ডেল্টা ভাইরাসের এই তীব্রতার সময়েও। যদিও বয়স্কদের ক্ষেত্রে করোনায় সংক্রমিত হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যুর হার বেশি দেখা যাচ্ছে। 


এই সংক্রান্ত গবেষণার জন্য ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ৬ লক্ষর বেশি করোনা সংক্রমিতের উপর পরীক্ষা-নিরাক্ষা চালায়। ভ্যাকসিন স্ট্যাটাস অনুযায়ী ১৮ বা তার বেশি বয়সিদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। 


গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইজার বা জনসন অ্যান্ড জনসনের থেকে মডার্নার করোনা ভ্যাকসিন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর। এককথায়, ১৮ বা তার বেশি বয়সিদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রুখতে ৯৫ শতাংশ কার্যকর মডার্নার ভ্যাকসিন।