শুক্রবার মুম্বই বিমানবন্দর থেকে রিও দ্য জেনেরিও গিয়েছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেইর বলসেনেরো লেখেন, নমস্কার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বব্যাপী প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে ব্রাজিল অংশীদার হওয়ায় সম্মানিত বোধ করছে। আমাদের ভ্যাকসিন দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ। ওই ট্যুইটে জেইর বলসেনেরো একটি ছবি শেয়ার করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি হনুমান পর্বত সঙ্গে করে ভ্যাকসিন কাঁধে নিয়ে ভারত থেকে ব্রাজিলে নিয়ে যাচ্ছে। এই ছবি রামায়ণের গল্প তুলে ধরে। কাহিনী অনুযায়ী, লক্ষ্মণের জন্য গন্ধমর্দন পর্বত পেরিয়ে সঞ্জিবনী বুটি নিয়ে যাচ্ছে হনুমান।
যদিও কোভিড পর্বে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেনব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসেনেরো। তিনি বলেছিলেন, আমি সবাইকে জানাচ্ছি ভ্য়াকসিন নেব না। ভ্য়াকসিন নেওয়া না নেওয়া আমার ব্য়ক্তিগত ব্য়াপার। এটা আমার অধিকারের মধ্য়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, মারণ ভাইরাসকে সাধারণ ফ্লু বলেছিলেন তিনি। আবার ভ্য়াকসিন বাজারে এলে ব্রাজিলের নাগরিকদের তা প্রয়োজন হবে না। কারণ ব্রাজিলবাসীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বলে তাঁর মত। পরে আবার বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণাও করেন তিনি। বিতর্কের পরে অবশ্য সুর নরম হয় তাঁর। ভ্যাকসিন আমদানি করার জন্য ভারতে প্লেন পাঠায় ব্রাজিল। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ২০ লক্ষ ভ্য়াকসিন আমদানি করল তারা।
উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভূটান, মলদ্বীপ, বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমারে ভারত ভ্যাকসিন পাঠাবে। ভারতের এই ভূমিকায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়া। তারা ট্যুইটারে লিখেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ভারতের ভূমিকা প্রশংসনীয়। দক্ষিণ এশিয়ায় তারা লক্ষ লক্ষ ভ্যাকসিন দিয়েছে। এতে উপকৃত হয়েছে ভূটান, মলদ্বীপ, বাংলাদেশ, নেপালের মতো দেশ।