কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানে ফের প্রকাশ্যে গেরুয়া শিবিরের কোন্দল। এবার আরএসএস-এর শাখা সংগঠনের নেতাকে মারধরের অভিযোগ গ্রেফতার হলেন বিজেপির তিন নেতা-কর্মী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপির তরজা।
পূর্ব বর্ধমানে আরও অস্বস্তিতে বিজেপি।বৃহস্পতিবার দলের আদি ও নব্যর লড়াইয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বর্ধমানের ঘোড়দৌড়চটি।
সেই তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরএসএস-এর শাখা সংগঠনের নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপির তিনজন নেতা-কর্মী।
জখম মিলন বিশ্বাস, আএসএস-এর শাখা সংগঠন স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের জেলা সহ সংযোজক। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের রসুলপুরে।
এই নেতার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে রসুলপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে নামার পরই তাঁর উপর চড়াও হন কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মী। স্টেশনের কাছে বিজেপির পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় তাঁকে।পরে বিনয়পল্লিতে নিয়ে গিয়েও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি মিলন বিশ্বাস।


স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের নেতার দাবি, বৃহস্পতিবার গন্ডগোলের সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
মারধরের ঘটনায় মেমারির বিজেপির কিষাণ মোর্চার নেতা বিপ্লব বিশ্বাস,বিজেপি যুব মোর্চা নেতা কানাইলাল সরকার এবং বিজেপির শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ সদস্য সুরজিৎ মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মারধরের ঘটনায় শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা।
পূর্ব বর্ধমান কিষাণ মোর্চার সভাপতি দেবাশিস সরকারের অভিযোগ, তৃনমুল, পুলিশকে দিয়ে নেতাদের গ্রেপ্তার করিয়ে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় সামন্ত বলেছেন, যিনি মার খেয়েছেন এবং অভিযোগ করেছেন তিনি বিজেপি করেন। এর সঙ্গে তৃনমুলের কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের অস্তিত্ব না থাকার জন্য মিথ্যা করে তৃনমুলের নামে দোষ চাপাচ্ছে।
বিধানসভা ভোটের আগে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল, মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈকত পাঁজাকে তৃণমূল থেকে দলে টেনে রীতিমতো উজ্জীবিত বিজেপি।
কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যেই বর্ধমানে যেভাবে দলের কোন্দল ফুটে উঠেছে, তা কীভাবে সামাল দেয় গেরুয়া শিবির, সেটাই এখন দেখার।