নয়াদিল্লি: আগামী বছরের প্রথম তিন মাসেই করোনা টিকা তৈরি হয়ে যেতে পারে। জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তবে ঠিক কবে ওই টিকা আসছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি।


সানডে সংবাদ নামে এক সোশ্যাল মিডিয়া আলোচনায় মন্ত্রী বলেছেন এ কথা। ইংল্যান্ডের ওষুধ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা নেওয়ার পর এক স্বেচ্ছাসেবকের গুরুতর অসুস্থতা ধরা পড়েছে। এ ব্যাপারে হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, ভারতে দেশীয় পদ্ধতিতে যে টিকা তৈরি হচ্ছে, তার মানব শরীরে পরীক্ষার সময় সবরকম নিরাপত্তার নেওয়া হয়েছে। টিকার সুরক্ষা, দাম, উৎপাদন সব কিছু নিয়ে চলছে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। টিকা তৈরি হয়ে গেলে যাঁদের দরকার সব থেকে বেশি, তাঁদের আগে এটি দেওয়া হবে। তবে প্রথম টিকা নিজে নিতে পারলে তিনি খুশি হবেন, মন্ত্রী জানিয়েছেন।

হর্ষ বর্ধন বলেছেন, টিকা বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে, তারাই দেখছে গোটা প্রক্রিয়া। পরীক্ষার ফল খতিয়ে দেখার পর নির্মাতাদের গণ উৎপাদনের পরামর্শ দেওয়া হবে, যাতে একেবার সময় নষ্ট না হয়। কাদের ওপর এই টিকা প্রথম প্রয়োগ হবে সে ব্যাপারে ঝাড়া বাছা চলছে। তবে টিকার কার্যকারিত্ব প্রমাণ করার জন্য তাঁর ওপর এই টিকা যদি প্রথম প্রয়োগ হয়, তবে তিনি খুশিই হবেন। টিকার দাম কত রাখা হবে তা তিনি জানেন না। তবে কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চিত করবে, দাম যতই হোক, তা যেন যাঁদের এই টিকা সব থেকে বেশি প্রয়োজন তাঁদের কাছে পৌঁছে যায়।

সহমতের ভিত্তিতে এই টিকা জরুরিভাবে বয়স্ক নাগরিক, করোনার প্রথম সারির যোদ্ধাদের ওপর প্রয়োগ করা হতে পারে। সাধারণত, তৃতীয় দফার পরীক্ষা হতে ছয় থেকে নয় মাস লাগে। তবে সরকার যদি চায়, তবে জরুরি ভিত্তিতে কমানো যেতে পারে পরীক্ষায় সময়সীমা। তবে নিরাপত্তার দিকটি তাতে আরও কঠোরভাবে দেখা হয়, ফলে তা নিয়ে কারও উদ্বেগের কারণ নেই। টিকা তৈরির গতি দেখতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হয়েছে, তত্ত্বাবধানে রয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফলে নিরাপত্তার কোনও ঘাটতি হবে না, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন।