নয়াদিল্লি: নভেল করোনাভাইরাস একটা অসুর। একমাত্র দেবতাদের শক্তির জোরেই তাকে খতম করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সাহায্য করতে সব মন্দির, ধর্মস্থান খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে এমন কথা বলল সাধুসন্ত, পূজারীদের একটি সর্বভারতীয় সংগঠন।
অখিল ভারতীয় তীর্থ পুরোহিত মহাসভা নামে ওই সংগঠনের জাতীয় সভাপতি মহেশ পাঠক বলেছেন, মন্দির, ধর্মস্থান,তীর্থক্ষেত্রগুলি ফের খুলে গেলে করোনাভাইরাস কোনও অনিষ্ট করতে পারবে না।
চিঠির প্রতিলিপি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে লকডাউনের ফলে মন্দিরগুলি বন্ধ থাকায় পূজারীদের আর্থিক হাল খারাপ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়ে বিশেষ প্যাকেজ দাবি করেছে সংগঠনটি। পাঠক বলেছেন, গাইডলাইন বেঁধে দিয়ে মন্দিরগুলি খোলা হলে লকডাউনে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়া পূজারীদের কিছুটা আর্থিক সুরাহা হতে পারে। সরকার যেমন বিভিন্ন স্তরের লোকজনকে আর্থিক প্যাকেজ দিচ্ছে, তার আওতায় পূজারীদেরও নিয়ে আসার আবেদন করেছেন তাঁরা।
লকডাউন কার্যকর করে স্কুল, কলেজ, মল, কলকারখানার পাশাপাশি সব ধর্মীয় স্থান, উপাসনাস্থল বন্ধ রেখেছ, জমায়েত, প্রার্থনাসভা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তবে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু বিধিনিষেধ বহাল রেখে, জারি করে ধর্মস্থানগুলি ফের খোলার প্রস্তাব রেখেছেন পাঠক।
তাঁর মতে, চলতি লকডাউনে তাঁদেরও ‘কলকারখানার মতো সমান চোখে’ বিচার করা হচ্ছে বলে সম্ভবত দেবদেবীদের রোষের কবলে পড়েছে ভারত। পাঠক বলেছেন, করোনাভাইরাস একটা দানব, একমাত্র দৈবশক্তিতেই তাকে হারানো যায়। আমি নিশ্চিত, সকলের প্রার্থনার জোরেই ভগবান তার ভক্তদের রক্ষা করবেন। মন্দির, ধর্মস্থানের দরজা বন্ধ হওয়ার জন্য় ভক্তের সঙ্গে ভগবানের দূরত্ব তৈরি হয়েছে, যা ঘরে বসে প্রার্থনা করে ঘোচানো সম্ভব নয়। পাঠক আরও বলেন, উত্তরাখন্ডের ‘চারধাম’ মন্দিরের দুয়ার খুলে দেওয়া হলেও সেখানে ভক্তদের প্রবেশ এখনও বন্ধ রয়েছে। সেখানকার দরজা ভক্তদের সামনে খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে পাঠক বলেন, দেবদেবীরা বিক্ষুব্ধ, অশান্ত, বিচলিত মনে শান্তি আনে।
প্রসঙ্গত, দেশে এখন তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে ১৭ মে পর্যন্ত, যা সোমবার থেকে আবার বাড়ছে।