নয়া দিল্লি: হোম আইসোলেশনে রেমডেসিভির নেওয়া যাবে না। কোভিড রোগীদের এই ওষুধ নিতে গেলে হাসপাতালে থাকাকালীন নিতে হবে। করোনা রোগীদের সতর্ক করে এমনই বার্তা দিলেন এইমসের ডাক্তাররা।


অতীতেও একই কথা আওড়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন কী করবেন, কী করবনে না তা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে তারা। কিন্তু তাতেও হুঁশ ফেরেনি একাংশের। করোনাকালে রেমডিসিভির নিয়ে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। প্রচারের জেরে এই ওষুধকেই করোনার বিরুদ্ধে রামবাণ ভাবছেন অনেকেই। যা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর চিকিৎসকরা।


হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন ওষুধ ও দেখাশোনা বিষয়ক আলোচনায় এইমস-এর চিকিৎসক নীরজ নিশ্চল বলেন, ''রেমডিসিভির কখনোই বাড়িতে বা হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন নিতে নেই। ইতিবাচক চিন্তাধারা ও যোগ ব্যায়াম চালিয়ে যাওয়া উচিত বাড়িতে থাকা রোগীদের।'' 


হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন রোগীর অক্সিজেন লেভেলে নজর রাখা আবশ্যিক। এমনই জানান এইমস-এর আরও এক চিকিৎসক মণীশ।তিনি বলেন, ''রোগীর অক্সিজেন লেভেল ৯৪ শতাংশের নিচে গেলেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। এ ক্ষেত্রে রোগীর বয়সটাও মাথায় রাখতে হবে। আমরা দেখেছি, ৮০ শতাংশ কোভিড রোগীরই সামান্য উপসর্গ দেখা যায়। অনেক সময় একবার আরটিপিসিআর পরীক্ষা করলেও কোভিড ধরা পড়ে না। তাই উপসর্গ বজায় থাকলে একবার নেগেটিভ এলেও ফের করোনা পরীক্ষা করা উচিত রোগীর।''


কোভিডের ক্ষেত্রে উপসর্গ


এইমস-এর চিকিৎসক নীরজ নিশ্চল জানান, জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তি, স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়াই কোভিডের লক্ষণ। তবে গলায় ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, পেট খারাপ, গা ব্যথা এমনকী চোখ লাল হয়ে যাওয়াও করোনার উপসর্গ হতে পারে। এই ধরনের কোনও লক্ষণ পেলেই বাড়ির সবার থেকে নিজেকে আলাদা করে নিতে হবে।


অতীতে কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় অ্যাজিথ্রোমাইসিনের দিকে ঝোঁকেন ডাক্তাররা। কিন্তু এইমস-এর চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীরা এই ওষুধের কথা বললেও ডাক্তাররা এখন তা নিতে না করেন। এমনকী হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির রেভিডক্সের মতো ওষুধ নেওয়াও উচিত নয়।