নয়া দিল্লি: দেশে এখনও অব্যাহত করোনা দাপট। গত তিনদিন ধরে সংক্রমণ কিছু কমলেও তা ২০ হাজারের ওপরেই রয়েছে। কখনও তা ৪০ হাজারের গণ্ডিও পেরিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের বিজ্ঞানী একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ প্রাণঘাতী কম হবে। এর কারণ অবশ্যই টিকাকরণ। পাশাপাশি ভাইরাস থেকে যারা সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁদের অ্যান্টিবডিও কাজে আসবে এই ঢেউ প্রতিরোধ করতে।


বিজ্ঞানী জানিয়েছেন তিন মাসের মধ্যেই এই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে ভারতে। তবে করোনাভাইরাস টিকা মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে ফলে এই ঢেউ প্রতিরোধ সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল হয়েছিল দেশ। একদিকে অক্সিজেন ঘাটতি অন্যদিকে টিকা-বেড আকাল। সব মিলিয়ে শ্মশানে শ্মশানে, নদীর পাড়ে, কবরস্থানে মৃত্যু বিভীষিকা দেখেছিল ভারত।


এরপরই আরও জোরদারভাবে টিকাকরণ শুরুর নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। যদিও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীর মত এখনই সম্পূর্ণ রোখা যাবে না এই অতিমারী সৃষ্টিকারী ভাইরাসটিকে। তবে মৃত্যুর হার হ্রাস করা যেতে পারে। তাঁর কথায়, "সময়ে সময়ে করোনা সংক্রমণ শিখরে উঠবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কমবে। মৃত্যুর হার ০.১ বা ১ শতাংশের নিচে রাখতে পারলে তবে করোনা যুদ্ধ জেতা সম্ভব।"


আরও পড়ুন, করোনা টিকাকরণের প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করায় ভারতের প্রশংসা WHO-র


এদিকে, মঙ্গলবার দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও বাড়ল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩৯ জনের। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ৪০৪। এর মধ্যে কেরলে একদিন মৃত্যু হয়েছে ৯৯ জনের। ওই রাজ্যে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৫৮।


দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ২১৩ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩২ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৭৯। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ২০৭। দেশে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ১৫৯ জন। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ হাজার ১২৭ জন।