নয়া দিল্লি: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে করোনাভাইরাসের দুই প্রজাতি ওমিক্রন ও ডেল্টা ভাইরাসের 'সুনামির' জেরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে চলেছে। কিছুদিন আগেই হু সতর্ক করেছিল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। যা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অত্যন্ত গুরুতরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।


সংবাদসংস্থা এএফপি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানকে উদ্ধৃত করে বলেছে, "আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে ওমিক্রন আরও সংক্রমণযোগ্য হয়ে উঠছে। ডেল্টার যে সময়ে বৃদ্ধি হয়েছিল তেমনই এক সুনামির দিকে এগিয়ে চলেছি। এর ফলে স্বাস্থ্যকর্মীরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বাড়ছে চাপ। করোনার দুই প্রজাতির জন্য বিশ্বব্যাপী মৃত্যুও বেড়েছে অনেকটাই। 


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান বলেন, "নতুন কোভিড রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে অসুস্থ হয়ে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। যাঁদের টিকা হয়নি তাঁদের সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুঁকিও অনেক বেশি।" 


রাষ্ট্রসংঘের (United Nation) প্রকাশিত সাপ্তাহিক অতিমারী সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪.৯৯ মিলিয়ন নতুন করোনা কেস রিপোর্ট হয়েছে। ইউরোপেও আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩ শতাংশ করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ লক্ষের মধ্যে ৩০৪ জন করে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। যা যে কোনও অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণের হার। 


হু-এর তরফে বলা হয়েছে আমেরিকায় নতুন কেস ৩৯% বেড়ে গিয়েছে। আফ্রিকাতেও নতুন আক্রান্ত প্রায় ৭ শতাংশ বেড়ে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার হয়েছে। ওমিক্রন বৃদ্ধি পাওয়াতেই এমন করোনা কোপ বেড়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনা হানায় মৃত্যু কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ। 


আমেরিকা থেকে ইউরোপ। বছর শেষে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ব্রিটেনে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংক্রমণ হয়েছে।  ১ দিনে আক্রান্ত ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৭১ জন। করোনা আক্রান্ত ৫০০ রও বেশি শিশু হাসপাতালে ভর্তি।