নয়াদিল্লি: কোভিড ১৯, ২০১৯ সালের শেষ থেকে সারা পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই মারণ রোগ। ক্রমশই নিজেকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি এই ভাইরাস নিজের চরিত্রও পরিবর্তন করছে। বদলে যাচ্ছে করোনার উপসর্গও। ২০২০-র শুরুতে যখন প্রথম করোনার লক্ষণ ধরা পড়ে, তখন এই মারণ রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ একরকমের ছিল। আর আজ ২০২১-র মাঝামাঝি সময়। দেড় বছরেরও বেশি সময়ে বদলে গিয়েছে করোনার লক্ষণও। আগে যে উপসর্গগুলি ধরা পড়লেই করোনা সম্পর্কে সাবধান হওয়া যেত, বর্তমানে বদলে গিয়েছে লক্ষণগুলিও।

  


এতদিন পর্যন্ত আমরা মোটামুটিভাবে করোনার উপসর্গ বা লক্ষণগুলো সম্পর্কে যা জানতাম, তা হল - জ্বর বা শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা, একটানা কাশি, গন্ধ না পাওয়া, জিভে স্বাদ না পাওয়া, সারা গায়ে এবং গলায় ব্যথা এবং শরীরে কোনও জোর না থাকা। কিন্তু সময়ের নতুন বেশ কিছু লক্ষণ ধরা পড়েছে করোনার। জেনে নিন নতুন লক্ষণগুলি।


যদি কোনও ব্যক্তির দুটো ডোজ ভ্যাকসিনই নেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে জানুন-
১. মাথা ব্যথা।
২. নাক থেকে জল পড়া।
৩. হাঁচি।
৪. গলায় ব্যথা।
৫. গন্ধ না পাওয়া।


যদি কোনও ব্যক্তির ভ্যাকসিনের একটি ডোজ নেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে? 
১. মাথা ব্যথা।
২. নাক থেকে জল পড়া।
৩. গলায় ব্যথা।
৪. হাঁচি।
৫. কাশি।


যদি কোনও ব্যক্তি কোনও ডোজ ভ্যাকসিনই না নিয়ে থাকেন, তাহলে কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে-
১. মাথা ব্যথা।
২. নাক থেকে জল পড়া।
৩. গলায় ব্যথা।
৪. জ্বর।
৫. কাশি।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর থেকেই চিকিৎসকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টই করোনার সবথেকে শক্তিশালী স্ট্রেন। আর এই ডেল্টা স্ট্রেনের জন্য়ই দ্বিতীয় ঢেউতে নাজেহাল জনজীবন। আর এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতামত, করোনার ডেল্টা স্ট্রেনের হাত থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়ার একমাত্র রাস্তা ভ্যাকসিন নেওয়া।