নয়াদিল্লি: আগামী সপ্তাহ থেকে দিল্লির হাসপাতালে শুরু হবে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের টিকাকরণ। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে পাওয়া যাবে রাশিয়ার এই ভ্যাকসিন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার থেকেই স্পুটনিক ভি-র টিকাকরণ।


অ্যাপোলো হাসপাতালের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মনে করা হচ্ছে মঙ্গলবার থেকেই টিকাকরণ শুরু করা যাবে। সোমবার বিকেলে কনসাইনমেন্ট আসার পরই এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি। কেন্দ্রের ভ্যাকসিন দামের তালিকা অনুযায়ী, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এই ভ্যাকসিন কিনতে হবে ১ হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে। যা ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিনের সর্বোচ্চ মূল্যের থেকেও কম।


কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনের পর করোনা মোকাবিলায় আরেক অস্ত্র স্পুটনিক ভি। গত মাসেই রাশিয়া থেকে ভারতে এসে পৌঁছয় ‘স্পুটনিক ভি’ ভ্যাকসিন। রাশিয়া থেকে ভারতে প্রায় ৩০ লক্ষ স্পুটনিক ভ্যাকসিনের ডোজ ভারতে এসেছে। সংখ্যার নিরিখে যা ভারতে আমদানি হওয়া যে কোনও বিদেশি ভ্যাকসিনের তৃতীয় বৃহত্তম। বিশেষ বিমানে করে হায়দরাবাদে পৌঁছয় ভ্যাকসিনগুলি। জুলাই থেকে ভারতেই শুরু হবে ‘স্পুটনিক ভি’-র উৎপাদন। প্রায় ১৬ কোটির মতো স্পুটনিক ভি তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মাঝেই হু এবং এফডিএ অনুমোদিত অন্যান্য ভ্যাকসিন আমদানিতেও সম্মতি দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ফাইজার, মর্ডানা, জনসন অ্যান্ড জনসনের মতো সংস্থার বানানো টিকা ভারতের আনার ক্ষেত্রে সমস্যা মিটবে। যে পরিস্থিতিতে দেশে চলতে থাকা ভ্যাকসিন ভোগান্তি মিটবে বলেই আশা করা যায়।


বর্তমানে দেশের ডক্টর রেড্ডি'জ ল্যাবরেটরিতে উৎপাদিত হচ্ছে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন। রাশিয়ার স্পুটনিক ভি উৎপাদন করতে চেয়ে ইতিমধ্য়েই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই)-এর কাছে আবেদন করেছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। জুন মাস থেকে প্রতিমাসে ১০ কোটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে সিরাম ইনস্টিটিউট। ভ্যাকনিন পরীক্ষা ও পর্যালোচনার জন্য ডিসিজিআই-এর অনুমতি চেয়েছে সিরাম। এরপর গত চলতি মাসেই অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে রাজধানীতে ৬০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯১৭ জনের টিকাকরণ হয়েছে। যার মধ্যে ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৭২১ জন পেয়েছেন টিকার দ্বিতীয় ডোজ।