নয়াদিল্লি: এবার কোভিডে 'কাবু' কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১০ দিনে ৫ গুণ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত বছরের পর ফের যা নিয়ে আতঙ্ক বাহিনীতে।


গত ১০ দিনের কোভিড পরিসংখ্যান বলছে, দেশের আধা সামরিক বাহিনীতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ৪ এপ্রিল সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ)-এ কোভিড রোগী ছিলেন ৫২২জন। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯১৫তে। অর্থাৎ মোটের ওপর সংক্রমিতের সংখ্যা ৫গুণ।


তবে শুধু মোট আক্রান্তের নিরিখেই নয়, একদিনে সব ফোর্সে আক্রান্তের হিসেবেও মারাত্মক বৃদ্ধি হয়েছে। সেখানেও ৫ গুণ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ৫ এপ্রিল ৫৭ জওয়ানের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০১-এ। বাহিনীতে কোভিডের সংখ্যা বলছে, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে করোনা রোগীর সংখ্যা সবথেকে বেশি। গত ৫ এপ্রিল বিএসএফ-এ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০জন। গত ১৫ এপ্রিলের মধ্যে বিশাল পার্থক্য দেখা গিয়েছে বাহিনীতে। ২৪ ঘণ্টায় বিএসএফ-এ মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১১৭ জন। ১০ দিন আগে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬৬। এখন যা বেড়ে হয়েছে ১৮৫০।

একইভাবে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে 'সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স'-এ। এপ্রিলের প্রথম দিকে দিনে ৪-৫ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন সিআরপিএফ-এ। পরবর্তীকালে কেবল ৫ এপ্রিল ৯৭ জওয়ান কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় ফেলেছে জওয়ানদের। বর্তমানে সিআরপিএফ-এ সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।

বাহিনীর সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি বলছে, দিল্লির ছতরপুর এলাকার কোভিড হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ আইটিবিপি-র জওয়ানরা। সেখানেও করোনার শিকার হন তাঁরা। গত ১০ দিনে ২৯ থেকে ১২৬-এ দাঁড়িয়েছে আইটিবিপি-র কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)-এর জওয়ানরাও। দিল্লি মেট্রো ও দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা। সেখানেও থাবা বসিয়েছে ভাইরাস। ইতিমধ্যেই সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

বাহিনীর বেগতিক অবস্থা দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে লিখিত বার্তা পাঠানো হয়েছে ইউনিটগুলির কাছে। সেখানে সোমবার থেকে অফিসে ৫০ শতাংশ জওয়ানদের আসতে বলা হয়েছে। আন্ডার সেক্রেটারি লেভেলের অফিসারদের বাড়ি থেকেই কাজের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক।