কলকাতা : ভয়ঙ্কর হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে CBSE র পর এবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল CISCE । পিছিয়ে গেল আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষা। ক্লাস ১০ ও ১২ এর ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল বোর্ড। ক্লাস টেনের পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি ছাত্রছাত্রীদের ঐচ্ছিক করা হল। কবে হবে পরীক্ষা, সেই সিদ্ধান্ত হবে জুনের প্রথম সপ্তাহে।
দেশে কোভিড সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, সেই কথা মাথায় রেখেই বুধবার সিবিএসই পরীক্ষার ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। শুক্রবারও প্রায় একই পথে হাঁটল CISCE । জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষার নয়া সূচির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষার তারিখ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’।
বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালের সঙ্গে। বৈঠকে হাজির ছিলেন অন্যান্য আধিকারিকরাও। সেখানেই সিবিএসই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে করোনার দাপট বাড়ায় সিবিএসই-র এ বছরের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা স্থগিত রাখার দাবি ওঠে। কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি সহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল সিবিএসই-র বোর্ড পরীক্ষা স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (সিবিএসই) পরীক্ষা রদের আর্জি জানান। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, পরীক্ষায় সামিল থাকবে প্রায় ছয় লক্ষ পড়ুয়া এবং সেইসঙ্গে এক লক্ষ শিক্ষকও থাকবেন। ফলে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি কোভিড ১৯ হটস্পট হয়ে উঠতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। দিল্লিতে মহামারীর চতুর্থ ঢেউ খুবই মারাত্মক হয়ে উঠেছে এবং এর প্রভাব তরুণ ও শিশুদের ওপর পড়ছে। তাই সিবিএসই-কে বোর্ড পরীক্ষা রদের আর্জি জানাচ্ছি।
দ্বাদশ ও দশমের প্রায় লক্ষ পড়ুয়াও অনলাইন পিটিশনে এ বছরের বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের দাবি তোলে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, এমনকি অভিনেতা সোনু সুদের মতো ব্যক্তিরা পড়ুয়াদের দাবি সমর্থন করেন।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI