নয়া দিল্লি : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সামান্য বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৪০ জন। গতকালের থেকে ২.৭ শতাংশ বেশি। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৪৮ হাজার ৬৯৮ জন। অন্যদিকে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৪৮ জনের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, এনিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাল ৩ কোটি ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ১৮৩ জন। মৃতের সংখ্যা ৩.৯৫ লক্ষ। এদিকে দেশে পজিটিভিটির হারও কমছে। টানা ২০ দিন ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে হার।
গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ১১৮ জন। এর পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু। এই দুই রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা যথাক্রমে ৯ হাজার ৮১২ জন ও ৫ হাজার ৪১৫ জন। এদিকে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪০৩ জনে। দেশে সুস্থতার হার ৯৬.৭৫ শতাংশ।
জানুয়ারিতে দেশজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর এপর্যন্ত ৩২,১৭ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া গেছে। টিকাকরণের হার নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি রিভিউ মিটিংয়ের পর গতকাল একথা জানানো হয় তাঁর অফিস থেকে।
এদিকে দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। শঙ্কার আবহেই ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে একাধিক রাজ্যে। যদিও আশার আলো দেখাচ্ছে আইসিএমআর। দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো মারাত্মক হবে না করোনার তৃতীয় ঢেউ। তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে টিকাকরণ। এমনটাই মন্তব্য করেছেন আইসিএমআরের এপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. সমীরণ পণ্ডা বলেন, দেশের ১০টি রাজ্যে ৪৯জনের শরীরে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। যা থেকে বলা যায় না করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার থেকে ভয়ানক এমন প্রমাণও মেলেনি। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করে আইসিএমআর। সেই গবেষণার কথা তুলে ধরে ডা. সমীরণ পণ্ডার দাবি করেছেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো মারাত্মক হবে না করোনার তৃতীয় ঢেউ।