লন্ডন: ১২০ মিনিটের লড়াইয়ের শেষ অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল ইতালি। গ্রুপের তিনটি ম্যাচই জিতে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও, অস্ট্রিয়াকে হারাতে রীতিমতো ঘাম ছুটে গেল আজুরিদের।
নির্দিষ্ট ৯০ মিনিটের খেলা গোলশূন্য থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে জ্বলে ওঠে ইতালির ফেডেরিকো চিয়েসার বাঁ পা। স্পিনাজ্জোলার উঁচু পাস হেড দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ের দুরন্ত শটে অস্ট্রিয়ার গোলকিপারকে দাঁড় করিয়ে রেখে গোল করে যান ৮৪ মিনিটে ডমেনিকো বেরার্দির পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা চিয়েসা। এরপর অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে বাঁ পায়ের দুরন্ত শটে ইতালির হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন ম্যাতিও পেসিনা। ৬৭ মিনিটে নিকোলো ব্যারেলার বদলে মাঠে নামেন পেসিনা। ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনির এই দু’টি পরিবর্তনই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দু’গোলে পিছিয়ে পড়ে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে আক্রমণে ঝাঁপায় অস্ট্রিয়া। পরপর আক্রমণের সুফল হিসেবে তারা একটি গোলও শোধ করে। ১১৪ মিনিটে অস্ট্রিয়ার হয়ে গোল করেন সাসা কালাজদিচ। তবে এরপর আর অস্ট্রিয়াকে কোনও সুযোগ দেয়নি ইতালির বিখ্যাত রক্ষণ। ম্যাচ শেষ হতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন মানচিনি।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সাফল্য ও গরিমাক বিচারে ইতালির সঙ্গে অস্ট্রিয়ার কোনও তুলনাই চলে না। কিন্তু এদিন হেরে গেলেও, দুর্দান্ত লড়াই করলেন অস্ট্রিয়ার ফুটবলাররা। অতিরিক্ত সময়ে দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও তাঁরা হাল ছাড়েননি। এই লড়াই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ইতালি এই ম্যাচে যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল, তা কোয়ার্টার ফাইনালের আগে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আজুরিরা চারবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও, ১৯৬৮ সালে একবারই ইউরো কাপ জিতেছে। এই প্রতিযোগিতায় বলার মতো সাফল্য গত কয়েক দশকে নেই। এবার কি মানচিনি দলকে কাঙ্খিত সাফল্য এনে দিতে পারবেন? ইতালি কিন্তু এখনও পর্যন্ত মসৃণভাবেই নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। বাকিটা পরবর্তী ম্যাচ বলে দেবে।