আহমেদাবাদ:  গুজরাতের উনায় দলিত নিগ্রহের ঘটনা ঘিরে সারা দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। গরুর চামড়া ছাড়াতে গিয়ে গো-রক্ষা সমিতির কর্মীদের হামলার মুখে পড়েন চার দলিত। কিন্তু সিআইডি তদন্তে জানা গেছে, যে গরুগুলির চামড়া ছাড়াতে গিয়ে তাঁদের বেধড়ক মার খেতে হল সেগুলিকে মেরেছিল সিংহ।


গুজরাত সিআইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, উনা তালুকের মোটা সমাধিওয়ালা গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত ১০-১১ জুলাই রাতে সিংহের দল ওই গরুকে মেরে ফেলেছিল। তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সিআইডি ইন্সপেক্টর জেনারেল এস এস ত্রিবেদী। তিনি জানিয়েছেন, ওই দিন রাতে সিংহের দল মোট চারটি গরু মেরেছিল। এরমধ্যে একটি বেদিয়া গ্রামের। অন্য তিনটি মোটা সমাধিওয়ালা গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকার। পরের দিন সকালে গরুগুলির দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য নিগ্রহের শিকার দলিতদের ডাকা হয়। ত্রিবেদী বলেছেন, এর থেকেই স্পষ্ট যে, গো-হত্যার সঙ্গে নিগৃহীত দলিতদের কোনও যোগই নেই।

গির অভয়ারণ্যে থেকে দূরে হলেও ওই গ্রামে মাঝেমধ্যেই চলে আসে সিংহরা।

ত্রিবেদী জানিয়েছেন, গো-রক্ষা সমিতির সদস্যদের কারা ডেকে আনল, তা জানার চেষ্টা চলছে। এভাবে মিথ্যে খবর দিয়ে ডেকে পাঠানোর পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই মোটা সমাধিওয়ালা গ্রামের বাইরে গরুর চামড়া ছাড়ানোর সময় দলিত যুবকদের বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে তাঁদের উনা শহরে নিয়ে গিয়ে গাড়ির সঙ্গে বেঁধে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে নির্মমভাবে পেটানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে দলিতদের ওপর এই নির্দয় হামলার ঘটনা ঘিরে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সংসদেও প্রসঙ্গটি তোলা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা গুজরাতে এসে দলিতদের সঙ্গে দেখা করেছেন। যদিও এই ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি মোদী।