সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: নদিয়ার চাকদায় দলীয় কার্যালয় পুনর্দখল করল সিপিএম। তাদের দাবি, ২০১১ সালে তৃণমূলে ওই কার্যালয় দখল করে নেয়। পরে ২০১৯-এ কার্যালয়টি বিজেপি দখল করে নেয় বলে অভিযোগ। ৮ মাস পর ফের কার্যালয় যায় তৃণমূলের হাতে। গতকাল সেই কার্যালয়ে লাল পতাকা টাঙাল সিপিএম। ২০১১ থেকে ২০২০- চারবার হাতবদল হল সিপিএমের এই কার্যালয়। নদিয়ার চাকদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়ায় এই কার্যালয়টি ২০১১-র আগে সিপিএমের ছিল। সিপিএমের অভিযোগ, ২০১১-য় রাজ্যে ক্ষমতা দখল হওয়ার পর তাদের এই কার্যালয়েরও হাতবদল হয়। সেটি চলে যায় তৃণমূলের দখলে। এরপর কাটে বেশ কয়েক বছর। ২০১৯-এ রাজ্যে উত্থান ঘটে বিজেপির। অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের পরই কার্যালয়টি দখল করে নেয় বিজেপি। তার ৮ মাস পর, এ বছরের জানুয়ারিতে ফের তৃণমূল কার্যালয়টি দখল করে বলে অভিযোগ।
রবিবার সেই কার্যালয় পুনরুদ্ধার করল সিপিএম। রাতারাতি ভোলবদল করা হল কার্যালয়ের। টাঙানো হল লাল পতাকা। বিজেপির অভিযোগ, কৌশলে সিপিএমকে অক্সিজেন দেওয়ার জন্যই তাদের হাতে কার্যালয় তুলে দিয়েছে তৃণমূল। ভারতীয় যুব মোর্চার নদিয়া দক্ষিণ জেলা কমিটির সদস্য পলাশ বলের দাবি, এখানে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের গোপন আঁতাঁত হয়েছে। তাই সিপিএমের হাতে কার্যালয় তুলে দেওয়া হয়েছে।)
তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাঁতের অভিযোগ অস্বীকার করেছে চাকদা, সিপিএমের শাখা সদস্য রাজু দেবের দাবি, আমাদের তৃণমূলের সঙ্গে কোনও আঁতাঁত নেই। এটা আগে আমাদের কার্যালয় ছিল। কয়েকবার হাতবদল হয়েছে। স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় সেই কার্যালয় ফিরে পেয়েছি।
তৃণমূলের দাবি, এই কার্যালয় তাদের ছিল না। তাদের কর্মীরা এখানে আসতেন না। চাকদা পুরসভার ২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি দীপক পোদ্দার বলেন,
এখানে বিজেপির দুই গোষ্ঠী তৃণমূলের নাম লিখে দখল করে রেখেছিল। এটা আমাদের কার্যালয় না। এখানে আমাদের কর্মীরা আসতেন না।
সব মিলিয়ে, এক কার্যালয়ের এতবার হাতবদলে সরগরম জেলা রাজনীতি।