দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর পিছনে আঁতুরঘরের ভূমিকা ছিল গত মাসে নয়াদিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাত আয়োজিত যে ধর্মীয় সভার, তার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন তিনিই। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে জারি হওয়া সরকারি গাইডলাইন অমান্য করে, পুলিশি হুঁশিয়ারিতে কর্ণপাত না করে নিজামুদ্দিন মারকাজে ধর্মীয় সভা করার অভিযোগ ওঠে তাঁর নামে। ওই সভায় প্রচুর বিদেশি নাগরিক সমেত কয়েক হাজার ভক্তের সমাবেশ হয়েছিল। সভার পর তারা দলে দলে দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, তারা কোভিড-১৯ এর বাহক হয়ে তার সংক্রমণ ঘটিয়েছে।
মৌলানা সাদ এর আগে দাবি করেন, তিনি কোয়ারেন্টিনে আছেন, যদিও তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ না নেগেটিভ, সেই মেডিকেল সার্টিফিকেট পুলিশকে দেননি। তাঁকে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হবে নাকি হবে না, তা একমাত্র তাঁকে জেরার পরই স্থির হবে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, অপরাধদমন শাখার লোকজনকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) পরে তল্লাসি চালাতে বলা হয়েছে।
ফরেনসিক শাখা ও দিল্লি পুলিশের ডজনখানেকের বেশি লোকজন গত রবিবার তথ্য সংগ্রহের কাজে নিজামুজ্জিন মারকাজ চত্বরে যাওয়ার পর ইতিমধ্যেই সেলফ কোয়ারেন্টিনে গিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, ৪২০০ র বেশি কোভিড ১৯ পজিটিভ হওয়ার ঘটনার সঙ্গে নিজামুদ্দিন মারকাজের সভায় যোগদানকারী লোকজনের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সংস্পর্শে আসা ২৫ হাজারের বেশি লোকজনকে সারা দেশে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে।
মারকাজের তরফে অবশ্য তাদের এক মুখপাত্র সাদের গা ঢাকার দিয়ে থাকার কথা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, পুলিশ তাঁকে জেরার জন্য হাজিরা দিতে বললে তিনি যাবেন।
ওই সভার আয়োজন করায় মৌলানা সহ সাতজনের বিরুদ্ধে দত ৩১ মার্চ এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। নিজামুদ্দিন থানার এসএইচও অভিযোগ পেশ করেছিলেন যে, করোনাভাইরাস ছড়ানো রুখতে প্রচুর মানুষের জমায়েত না করার আদেশ ভেঙেছেন ওরা। পরে এফআইআরের সঙ্গে যোগ করা হয় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত হত্যা) ধারা।