CRPF Jawan: পাকিস্তানি মহিলাকে বিয়ে করে বড় শাস্তির মুখে পড়েছেন সিআরপিএফ জওয়ান মুনির আহমেদ। তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে সেন্ট্রাল রিজার্চ পুলিশ ফোর্স থেকে। পাক মহিলাকে বিয়ের কথা গোপন করেছিলেন এই সিআরপিএফ জওয়ান। এমনকি ওই মহিলার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁকে ভারতের মাটিতেই আশ্রয় দিয়েছিলেন মুনির। এর জেরেই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে সিআরপিএফ থেকে। তবে বরখাস্ত হওয়ার পরের দিন সরব হয়েছেন মুনির আহমেদ। তাঁর কথায়, অন্যায় করা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকে বিচার চেয়েছেন তিনি। 

মুনির আহমেদকে বরখাস্ত করার চিঠিতে বলা হয়েছে তিনি সিআরপিএফ- কে এই তথ্য জানাননি যে তাঁর স্ত্রী'র ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআই- কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুনির আহমেদ বলেছেন, তিনি জানিয়েছিলেন। তাঁর কাছে প্রমাণ রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তিনি সঠিক পথই অনুসরণ করেছেন এবং নথিও যুক্ত করেছেন। 

গত বছর ২৪ মে ভিডিও কলে বিয়ে হয়েছিল মুনির আহমেদ এবং পাকিস্তানের নাগরিক মিনাল খানের। মুনির জানিয়েছেন, গত বছর অক্টোবর মাসেই সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষকে বিয়ের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন তিনি। এবছর ফ্রেব্রুয়ারি মাসে ওয়াঘা-আটারি বর্ডার পেরিয়ে ভারতে আসেন মিনাল এবং মুনিরের সঙ্গে থাকা শুরু করেন। ১৫ দিনের ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন মিনাল। এই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছিল মার্চ মাসে। এরপর দীর্ঘমেয়াদি ভিসার জন্য আবেদন করেন মুনির। একমাস পরে পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর নিউ দিল্লি থেকে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মিনাল খানকে নির্বাসিত করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে জম্মু ও কাশ্মীরের হাই কোর্ট থেকে স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। 

মুনির আহমেদ জানিয়েছেন, মিনাল যখন ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে এসেছিল তখন ছুটিতে ছিলেন তিনি। মার্চের ২৩ তারিখ ডিউটিতে যুক্ত হয়েই সব কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন তিনি। মিনালের ভিসার একটি কপিও দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন মুনির। সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি 'লং-টার্ম' ভিসার আবেদনের ব্যাপারেও জানিয়েছিলেন তিনি। মুনির আরও বলেছেন, 'আচমকা ভোপালে ট্রান্সফার হয়ে যায় তাঁর। অথচ ২০২৭ সাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরেই পোস্টিং থাকার কথা ছিল আমার। আমায় একটা ট্রেনের টিকিট পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। ৪১ ব্যাটেলিয়ানের যোগ দিই আমি এবং একটা ইন্টারভিউ হয়েছিল। তখনই বিয়ের ব্যাপারে ওদের সব জানিয়েছিলাম আমি। ট্রান্সফারের ব্যাপারেও ডিরেক্টর জেনারেলকে চিঠি লিখেছিলাম। সেই অ্যাপ্লিকেশন এখনও প্রক্রিয়াধীন পর্যায়ে রয়েছে।'  

এত কিছুর পরে সিআরপিএফ থেকে বরখাস্ত হয়ে হতবাক মুনির আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, 'ন্যায়-বিচারের' জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের আবেদন করবেন। 'একজন জওয়ান হিসেবে আমি বিচার চাই। ২০২৪ সালে বিয়ে করেছি আমি। আর ২০২২ সাল থেকে ডিপার্টমেন্টকে জানিয়েছি আমি। আমায় বলুন, তাহলে এখানে বেআইনি কী রয়েছে?', বলছেন মুনির আহমেদ।