পূর্ব চিনা প্রদেশ আনহুইয়ে একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক গত সপ্তাহে ভিডিওটি প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, ইংঝু জেলার ফুইয়াং শহর দিয়ে সেনা বাস যাচ্ছে, তরুণ সেনারা বাসে বসে বিখ্যাত চিনা সামরিক গান গ্রিন ফ্লাওয়ার্স ইন দ্য আর্মি গাইতে গাইতে চলেছে কিন্তু অনেকেই কাঁদছে হাপুস নয়নে। এই ভিডিওটিই গোটা বিশ্বে প্রচার করেছে লিবার্টি টাইমস ও তাইওয়ান নিউজের মত কয়েকটি স্বাধীনতাকামী তাইওয়ানি সংবাদমাধ্যম, যারা চিন বিরোধী অবস্থানের জন্য খ্যাত। তারা এই কান্নাকে মৃত্যুভয় বলে ব্যাখ্যা করেছে, বলেছে, পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনার সামনে চিনের যে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা, তাতে এ ধরনের কান্না তাদের সেনাদের পক্ষে স্বাভাবিক। ভিডিওটি টুইটার, ফেসবুক সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে গিয়েছে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে এটি ছড়িয়েছেন পাকিস্তানি কমেডিয়ান জায়েদ হামিদ। তিনি আবার লিখেছেন,আমরা পাকিস্তানিরা তোমায় সমর্থন করি চিন। সাহস রাখ।
চিন মনে করে, তাইওয়ান তাদের মূল ভূখণ্ডের অংশ, তা দরকারে বলপ্রয়োগে দখল করতে হবে। ভারতের মত তাইওয়ানের সঙ্গেও তাদের অশান্তি এই মুহূর্তে তুঙ্গে। তাইওয়ানি মিডিয়ার দাবি, এই সেনারা সম্ভবত কলেজের ছাত্র, এদের মধ্যে ৫ জন তিব্বতে স্বেচ্ছাসেবকের কাজও করেছে। তিব্বত লাদাখ সীমান্তে অবস্থিত, যেখানে গালওয়ান উপত্যকায় জুন মাসে ভারত-চিন রক্তাক্ত সংঘর্ষ হয়েছে। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, চিনা সেনারা কীভাবে পাগলের মত কাঁদতে কাঁদতে পিএলএ-র গান গাইছে।
যদিও চিনা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের দাবি, তাইওয়ান ইচ্ছে করে চিনা সেনাদের একটি আবেগপূর্ণ ভিডিও নিয়ে মিথ্যে প্রচার করছে। ওই সেনারা সামরিক গান গাইতে গাইতে তাদের বাবা মা, পরিবারের লোকদের বিদায় জানাচ্ছিল, তাই তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যম যা বলছে, তাদের মানসিক অবস্থা মোটেই তেমনটা ছিল না। যাঁরা এই ভিডিওটি রিপোস্ট করেছেন, তাঁরা অনেকেই ভারতের বাসিন্দা বলেও তাদের দাবি।