নয়াদিল্লি: ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্য দরজা সম্ভবত সরকার একেবারেই বন্ধ করে দেওয়ার পথে হাঁটছে না। এক্ষেত্রে সরকার ভারসাম্য মূলক একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিতে পারে সরকার। ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলিকে লেনজেন ও পেমেন্টের জন্য মুদ্রা হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া নাও হতে পারে। কিন্তু সেগুলি শেয়ার, সোনা বা বন্ডের মতো সম্পদ হিসেবে গন্য করা হতে পারে। এক্ষেত্রে বিনিময় ও প্ল্যাটফর্মগত ভাবে কোম্পানিগুলির সক্রিয় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ওয়াকিবহাল মহলের সূত্র উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
ক্রিপ্টো সম্পদের বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পথ প্রশস্ত করতে একটি আইনের খসড়া সরকার চূড়ান্ত করছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। পেমেন্ট ও লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলিকে ভার্চুয়াল মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করার পথ বন্ধ করা হতে পারে।
সরকারি সূত্র উল্লেখ করে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, সক্রিয় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না। বিলের বিস্তারিত তৈরি করা হচ্ছে। ওই সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, যে বিল তৈরির কাজ চলছে, তা আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিবেচনার জন্য পেশ করা হতে পারে।
সরকারের ওই সূত্রের খবর, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্চ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)-কে এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিলের ব্যাপারে আলোচনা চলছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কর আরোপ সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও সরকার কাজ করছে। আসন্ন আইনের খসড়ায় এই বিষয়টির বিস্তারিত থাকতে পারে বলে ওই সূত্র উল্লেখ করে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিল সরকার পেশ করতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে অর্থমন্ত্রক সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল। গত সোমবার এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল। স্থায়ী সমিতির চেয়ারম্যান জয়ন্ত সিনহার সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে অধিকাংশ সদস্য সহমত হয়েছিলেন যে, ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায় না, কিন্তু নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে।