নয়াদিল্লি: দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরছেন অরবিন্দ কেজরিবালই। সোমবারই দিল্লি বিধানসভার ভোটগ্রহণের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ৮ ফেব্রুয়ারি, একদিনেই দিল্লি বিধানসভার ৭০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে, গণনা করা হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। আর ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের দিনই জনমত যাচাই করা সংস্থা সি ভোটার পরিচালিত নির্বাচনী সমীক্ষায় বিপুল জনসমর্থন নিয়ে কেজরিবালের আমআদমি পার্টির (আপ) মসনদে ফেরার ভবিষ্যদ্বাণী করা হল। সমীক্ষায় প্রকাশ, আপ ৫৪ থেকে ৬৪টি আসন পেতে চলেছে। ২০১৫-র নির্বাচনে ৭০টির মধ্যে ৬৭টি পেয়েছিল তারা। এবার সামান্য কয়েকটি আসন কমতে পারে। তবে দুই তৃতীয়াংশের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা বহাল থাকছে। বিজেপি ৩ থেকে ১৩টি আসন পেতে পারে বলে সার্ভেতে বলা হয়েছে। ২০১৫-য় তারা পেয়েছিল ৩টি আসন। এবার সামান্য কয়েকটি বেশি আসন তাদের ঝুলিতে যেতে পারে, যদিও দুই অঙ্কে হয়তো পৌঁছবে না তারা।
সি ভোটারের সমীক্ষায় প্রকাশ, কংগ্রেস খাতা খুলতে পারে এবার। যদিও খুব বেশি হলে সর্বোচ্চ ৬টি আসন জুটতে পারে তাদের ভাগ্যে। ২০১৫-য় তারা একটি আসনও পায়নি। অবশ্য কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিল তারা।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৩০৭৬ জন ভোটারকে নিয়ে সমীক্ষাটি করে সি ভোটার।
ভোট শতাংশের বিচারে আপ ৫৩.৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে, ২০১৫-য় তারা পেয়েছিল ৫৪ শতাংশ ভোট। ২০১৫-র তুলনায় বিজেপির ভোট শতাংশ কমার ইঙ্গিত রয়েছে সমীক্ষায়। ২০১৫-য় পাওয়া ৩২.২ শতাংশ থেকে ৬-৭ শতাংশ কমে তা ২০২০-তে ২৫.৯ শতাংশ হতে পারে। বাস্তবে এটা হবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিজেপির পাওয়া সবচেয়ে কম ভোটের হার।
কংগ্রেসের ৪.৮ শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে সমীক্ষায় প্রকাশ। এটা ২০১৫-য় তাদের প্রাপ্ত ভোটের হারের অর্ধেক। সি-ভোটার জানাচ্ছে, সমীক্ষায় ১৬.২ শতাংশ মতদাতা কাদের সমর্থন করবেন, সে ব্যাপারে দোদুল্যমান অবস্থান জানিয়েছেন।
সি-ভোটার পরিচালিত সমীক্ষায় প্রকাশ, আপের পক্ষে তুমুল হাওয়া ওঠার পিছনে ফ্যাক্টর হল মুখ্যমন্ত্রী কেজরিবালের জনপ্রিয়তা, বিজেপি ও কংগ্রেসের তাঁর বিরুদ্ধে কোনও গ্রহণযোগ্য মুখ তুলে ধরায় ব্যর্থতা। সমীক্ষা অনুসারে, ৬৯.৫ শতাংশ কেজরিবালকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মুখ হিসাবে সমর্থন করেছেন। তাঁর অনেক দূরে আছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চেয়েছেন মাত্র ১০.৭ শতাংশ। কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেনকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান মাত্র ৭.১ শতাংশ।