নয়াদিল্লি: প্রবল গর্জালেও তেমন একটা বর্ষাতে পারল না অশনি। গত সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরের (bay of bengal) উপর তৈরি হয়েছিল একটি নিম্নচাপ (depression)। আশঙ্কা করা হয়েছিল ধীরে ধীরে শক্তি সংগ্রহ করে ২১ মার্চের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এটি। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হতো সাইক্লোন অশনি (cyclone asani)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধে পর্যন্ত ততটা শক্তি সংগ্রহ করতে পারেনি এটি। ইতিমধ্যেই মায়ানমারে ল্যান্ডফল হয়েছে এটির। অতি গভীর নিম্নচাপ হিসেবে মায়ানমারে ঢুকেছে এটি।


 






কোন পথে মায়ানমারে?


ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (India Meteorological Department)-এর তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর আন্দামান সাগরের উপর দিয়ে উত্তর দিকে এগিয়েছে। পরে মায়ানামার (mayanmar) উপকূলে অতি-গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঢুকেছে। রেঙ্গুন বা ইয়াঙ্গন থেকে ২১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে এবং আন্দামান থেকে ৪১০ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপূর্বে ল্যান্ডফল হয়েছে এটির। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, এটি ধীরে ধীরে মায়ানমারের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে এবং আস্তে আস্তে শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। 


ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (India Meteorological Department)-মনে করছে মঙ্গলবার সন্ধের মধ্যেই শক্তি হারিয়ে এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। তখন ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ হবে ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। দমকা হাওয়ার (gusting wind) গতিবেগ উঠতে পারে ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।


বৃষ্টির আশঙ্কা আছে?


নিম্নচাপের প্রভাবে ইতিমধ্যেই আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বৃষ্টিপাত (rainfall) হয়েছে। এর পরে আন্দামানে (andaman) তেমন একটা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ধীরে ধীরে কমবে বৃষ্টিপাত। যদিও আপাতত বেশ কয়েকদিন সমুদ্রের (sea) চেহারা অশান্ত থাকবে। ফলে আপাতত নতুন নির্দেশ না আসা পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের (fisherman) সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


আরও পড়ুন; নিজের নতুন ইউটিউব চ্যানেল লঞ্চ করলেন টোকিও অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া