কলকাতা: রামপুরহাটে (Rampurhat Fire) গণহত্যার অভিযোগে সরব হলেন সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। “ঘটনা ধামাচাপা দিতেই সিট গঠন সরকারের,’’ অভিযোগে সরব হলেন মহম্মদ সেলিম। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “এসপি মারফত, পুলিশের মারফত তোলাবাজির টাকা ঘুরে ফিরে আসে ভাইপোর অ্যাকাউন্টে। যেখান থেকে হামলা হয়েছে।‘’ “বেআইনি অস্ত্র, বোমা উদ্ধার করুক পুলিশ।’’ দাবি সেলিমের। তাঁর অভিযোগ, “SIT ধামাচাপা দেবে। প্রতিদিন মানুষ খুন হচ্ছে। যাঁরা খুন হচ্ছেন, আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে ঝান্ডা ধরেছে তৃণমূলের। সাধারণ মানুষ নিরাপদ নয়। পুলিশও নিরাপদ নয়।’’
ঠিক কী ঘটেছে রামপুরহাটে?
নানুরের পর এবার রামপুরহাট, ২ দশক পরে বীরভূমে ফের হত্যালীলা। তৃণমূল উপ প্রধান খুনের পর রামপুরহাটে হত্যালীলা, ৮জনের মৃত্যু। রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে পরপর বাড়িতে আগুন, আহত আরও ৩। রামপুরহাটে ২ শিশু, ৬ মহিলা-সহ আগুনে পুড়ে ৮ জনের মৃত্যু।
রিপোর্ট তলব স্বরাষ্টমন্ত্রীর: রামপুরহাটকাণ্ডে রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। এদিন সংসদে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। বৈঠক শেষে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, রামপুরহাটের এই ঘটনায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজ্যে আসবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল, দাবি সুকান্ত মজুমদারের।
চড়ছে রাজনৈতিক পারদ: রামপুরহাটে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের দাবি অনুব্রত মণ্ডলের। রাজ্যে সন্ত্রাসের সংস্কৃতি, নেই আইনের শাসন, ট্যুইট রাজ্যপালের। মুখ্যসচিবের কাছে রামপুরহাটকাণ্ডের রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের। রামপুরহাটকাণ্ডের প্রতিবাদে বিধানসভায় বিক্ষোভ বিজেপির। ওয়াকআউট বিজেপি বিধায়কদের, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি। এদিন বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, “দুঃখজনক ঘটনা, সরকার কঠোর পদক্ষেপ করছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রামপুরহাটে পৌঁছে গিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম সহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বাংলায় ৩৫৬, কিংবা ৩৫৫ ধারা জারির দাবি অধীর চৌধুরীর। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
আরও পড়ুন: Coochbehar News: জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে অনাস্থা, কোচবিহারে অপসারিত পঞ্চায়েত প্রধান