আহমেদাবাদ : অনেকটাই দুর্যোগ কেটেছে। তবে বিপর্যয়ের ( Biparjoy ) রেশ থাকবে আরও ৪৮ ঘণ্টা। চলবে বৃষ্টি। বইবে ঝোড়ো হাওয়া। এবার বিপর্যয়ের সঙ্কেত পেয়েই প্রস্তুত ছিল গুজরাতের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। প্রাণপণে দুর্যোগ মোকাবিলার চেষ্টা করে গিয়েছে এনডিআরএফ ( NDRF ) ও রাজ্য পুলিশ। জোরকদমে চলছে ত্রাণকাজ। 



গুজরাতের বরদা দুঙ্গারে চার দিন আগে এক শিশুর জন্ম দেন মা। এই এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ছিল প্রবল।  ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা থেকে সদ্যোজাত শিশুটিকে কোলে তুলে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান রাজ্য পুলিশের এক মহিলা কর্মী। 


গুজরাতের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মুলু আয়ার বেরা একটি স্থানীয় নিউজ চ্যানেলের একটি ভিডিও টুইট করেন যেখানে দেখা যাচ্ছে , এক় মহিলা পুলিশ কর্মী একটি নবজাতককে  কোলে নিয়ে যাচ্ছেন । সঙ্গে সেই শিশুটির মা ও আরও কয়েকজন মহিলাও চলেছেন নিরাপদ এলাকায় উদ্দেশে।  


মন্ত্রীর ওই ট্যুইটটি রিট্যুইট করেছেন গুজরাতের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ। তিনি অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে ভিডিওটি রিটুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন #GujaratPolice-এর সঙ্গে থাকা মানে নিরাপদ হাতে থাকা।       


বৃহস্পতিবার গুজরাটে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কোথাও কোথাও রাস্তা বসে যায়।  বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছ উপড়ে  মারা যান অন্তত দুজন । আহত হয়েছএন ২০ র বেশি মানুষ । এখন ঘূর্ণিঝড়ের গতি অনেকটাই কম। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজস্থানের উপরে পৌঁছে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।                        






সমুদ্রের উপর যতক্ষণ থাকে ততক্ষণই শক্তি সঞ্চয় করতে পারে ঘূর্ণিঝড়। তারপরেই ক্রমশ অগ্রগতি হয় ঝড়ের। শেষ পর্যন্ত উপকূলের কাছে এসেছে আছড়ে পড়ে। ল্যান্ডফলের মুহূর্তে তীব্র শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়লেও, ভূমিভাগে ঢোকার পর থেকেই ক্রমশ শক্তি হারাতে থাকে ঘূর্ণিঝড়। তারপর একসময় শক্তি কমে পরিণত হয় অতি গভীর নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপে।                            


আইএমডি-র ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান, “ঘূর্ণিঝড়  বিপর্যয় উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গেছে এবং গুজরাটের জাখাউ বন্দরের কাছে পাকিস্তান উপকূল সংলগ্ন সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অতিক্রম করে চলে গিয়েছে বিপর্যয়। ঘূর্ণিঝড়টির তীব্রতা ১০৫-১১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় নেমে এসেছে।  এর প্রভাবে শুক্রবারও রাজস্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।”