নয়া দিল্লি: ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার দুর্বল হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই, বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন ঝড় তৈরি হচ্ছে। মৌসম ভবন তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় জেলাগুলিকে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার জারি করা বুলেটিনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন শ্রীলঙ্কা উপকূলে একটি নিম্নচাপ তীব্রতর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মৌসম ভবনের তরফে বলা হয়েছে, "আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি"।
এর নামকরণ করা হবে ঘূর্ণিঝড় ‘দিতওয়াহ’। অভিমুখ হতে পারে ভারতের দিকে। এই সপ্তাহের শেষের দিকে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে ভারী বৃষ্টিপাত, ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগে তীব্র বাতাস এবং উত্তাল সমুদ্রের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
একটি ঘূর্ণিঝড় শক্তি হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই নতুন আরও একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে সাগরে। মালাক্কা প্রণালীর কাছে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা কমছে না। ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ৩০ নভেম্বর পুদুচেরি ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝ়ড়ের প্রভাবে দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে মৌসম ভবন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আইএমডি-র পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি উৎপত্তি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে বঙ্গোপসাগরের উষ্ণ জলে শক্তি বাড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই অঞ্চলজুড়ে ৮ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে এই সিস্টেম।
অন্যদিকে, সেনিয়ার বর্তমানে সুমাত্রার দিকে এগোচ্ছে এবং মালয়েশিয়ার একাধিক উত্তর প্রদেশে ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, এ ধরনের ঘূর্ণিঝড় মালাক্কা প্রণালিতে অত্যন্ত বিরল। কেউ কেউ একে ‘রেয়ারেস্ট অব দ্য রেয়ার’ বলছেন।