কলকাতা: নভেম্বরের শেষে এসে ফের আবহাওয়ায় আমূল বদল। মেঘলা আকাশ-বৃষ্টিতে শীতের রেশ কমিয়ে বাড়ল পারদ। নেপথ্যে? ঘূর্ণিঝড়। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব না পড়লেও পরোক্ষ প্রভাব পড়তে চলেছে। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে এর তুমুল প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে।
মৌসম ভবনের তরফে জানান হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যেয় তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি, অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই সাইক্লোন। গত ৬ ঘণ্টায় ৭ কিমি প্রতি ঘণ্টায় উত্তর থেকে উত্তর পশ্চিমে সরছে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ। তবে ল্যান্ডফলের আগে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সর্বোচ্চ ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগ হতে পারে ফেঙ্গালের।
তামিলনাড়ু- অন্ধপ্রদেশের একাধিক জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া চরমতম পর্যায়ে পৌঁছতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকেই চেন্নাই, চেঙ্গলপাট্টু এবং কুড্ডালোরে স্কুল ও কলেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে, শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলাই থাকবে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী চার জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর প্রভাব সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের উপর না পড়লেও বছর শেষে শীতের আমেজে খানিক ভাঁটা পড়তে চলেছে। তাই নভেম্বরের শেষে এসে তাপমাত্রা আবার খানিক বেড়েছে।
শনিবার অর্থাৎ ৩০ নভেম্বর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সহ পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুরে। এছাড়াও এই উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে রবিবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে