পূর্ব মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড়ের পর কেটে গিয়েছে দেড় মাসের বেশি সময়। কিন্ত তাও ক্ষতিপূরণ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সাসপেন্ড করা হল ২৫ জন নেতা ও পদাধিকারীকে।
তালিকায় রয়েছেন নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কেন্দামারি জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মানসুরা বেগম। নন্দীগ্রাম এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ভোলানাথ দাস। নন্দীগ্রাম এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আরও এক সদস্য, ১০ জন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের ১২ জন বুথ ও অঞ্চল সভাপতি।
এর আগে ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে ২০০ জন নেতাকর্মী ও পদাদিকারীকে শোকজ করেছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার ছিল সেই শোকজের জবাব দেওয়ার শেষ দিন। মঙ্গলবার ফের বৈঠকে বসে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই বৈঠকেই ২৫ জন নেতাকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাসপেন্ডেড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মানসুরা বেগম। তিনি বলেন, এই বিষয়ে কিছু জানি না। দল যা বলবে মেনে নেব। আমি নির্দোষ। কোনও দুর্নীতি করিনি।
নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ইতিমধ্যেই ৮৭ জন ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দিয়েছেন। টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আরও ৫০ জন।
যদিও গোটা প্রক্রিয়াকে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ বলেন, দুর্নীতির পর টাকা ফেরত বা শাস্তি, সবটাই আইওয়াশ।