নয়াদিল্লি: আজ রাত থেকে কাল ভোরের মধ্যে গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তওতে। ইতিমধ্যে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে মৌসম ভবন। বর্তমানে মুম্বই উপকূলের ২০০ কিলোমিটার দূরে বয়ে যাচ্ছে এই ঘূর্ণিধঝড়। তার জেরে ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। মুম্বই উপকূলে এনডিআরএফের ১২টা দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার সময় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার হওয়ার কথা।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, গুজরাতের জুনাগড় ও আমরেলিতে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা। গির অভয়ারণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা। ইতিমধ্যে জুনাগড়ে ১২০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর আগে গতকাল গোয়া ও কর্ণাটকের উপকূলবর্তী অঞ্চল দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় তওতে। প্রবল ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির দাপটে গোয়া ও কর্ণাটকে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। কর্ণাটকে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। কেরলে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। কেরলেও ভারী বৃষ্টি চলছে।
করোনার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ‘তওতে’-র তাণ্ডব। লন্ডভন্ড পশ্চিম ভারতের উপকূল। ফুঁসে উঠল সমুদ্র। ভেঙে পড়ল বাড়ি। উপড়ে পড়ল গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। তাণ্ডবের এই ছবিই বঙ্গবাসীকে মনে করিয়ে দিয়েছে, ঠিক এক বছর আগে আমফানের বীভত্সতা।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার গোয়া উপকূলে আছড়ে পড়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘তওতে’। ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি। রেললাইনে উপড়ে পড়ে গাছ। বেশ কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুত্ সংযোগ। গোয়ার পাশাপাশি কর্ণাটক ও কেরলেও তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় তওতে। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে টানা বৃষ্টি চলছে কেরল উপকূলেও। গতকাল মৌসম ভবন জানায়,সোম অথবা মঙ্গলবার সকালে গুজরাতের পোরবন্দর ও নালিয়ার মধ্যবর্তী কোনও উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়।
ঘূর্ণিঝড়ের জন্য তুমুল বৃষ্টি হতে পারে মুম্বই ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। এছাড়াও বৃষ্টি হতে পারে গুজরাতের জুনাগড়, গির সোমনাথ, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, দিউ, পোরবন্দর, দ্বারকা, আমরেলি, রাজকোট ও জামনগরে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গুজরাত ও দিউ উপকূলে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে সরকার। তৈরি রাখা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিল দল, নৌ সেনা ও বায়ু সেনাকে। অন্যদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গোয়ায় সমস্ত উড়ান বন্ধ রাখা হয়েছে।