নয়াদিল্লি: ঘূর্ণিঝড়ে তওতের প্রভাবে এবার রাজস্থানে শুরু হল বৃষ্টিপাত। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ইতিমধ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে রাজস্থানের বেশ কিছু জেলায়। যোধপুর, জয়পুর, উদয়পুর, ভরতপুর সহ একাধিক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। প্রত্যেকটি জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দলকে। একইসঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজধানীর দিল্লির একাধিক জায়গাতেও।


গতকাল, মঙ্গলবার  গুজরাতের একাংশে কার্যত তাণ্ডব চালায় তওতে। ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলবর্তী এলাকা। বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘর, রাস্তাঘাটের ক্ষতি হয়েছে। গাছ উপড়ে পড়েছে, ভেঙে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।


মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগের তুলনায় তওতে এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হওয়ার সময় ধীরে ধীরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।  তওতে-র প্রভাবে গতকাল গুজরাতের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রায় ৩৫টি তালুকায় এক ইঞ্চির বেশি জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমেদাবাদ শহরের অনেক অংশে হাঁটুসমান জল। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রাজ্যে ১৬ হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, ৪০ হাজারের বেশি গাছ এবং ১ হাজারের বেশি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। 


সমুদ্রে খারাপ অবস্থার সময় ভেরাভাল পোতাশ্রয় এলাকায় জেলেদের একটি নৌকা আটকে পড়ে। সেখান থেকে আট মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। এছাড়া খারাপ আবহাওয়া চলাকালীন প্রতিবেশী রাজ্য মহারাষ্ট্রের সতপতি উপকূলে একটি ভ্রাম্যমাণ জাহাজ আটকে পড়ে। সেখান থেকে আট ক্রু মেম্বারকে উদ্ধার করে দমনের সিজে বিমানঘাঁটিতে থাকা দুটি হেলিকপ্টার।


এদিকে গুজরাতের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ, বুধবারাই সেখানে পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারে চেপে উনা, দিউ, জাফরাবাদ ও মাহুভার পরিস্থিতি খতরিয়ে দেখবেন নরেন্দ্র মোদি। পরিদর্শন পর্ব শেষের পর আমদাবাদে একটি রিভিউ মিটিং করারও কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ নয়াদিল্লি থেকে গুজরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। গিয়ে নামবেন ভাবনগরে। সেখান থেকে চপারে বসে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী।