কলকাতা: ৫ ফুট উঁচু ঢেউ আসতে পারে। ভরা কোটালে ঘূর্ণিঝড় বলেই বেশি ক্ষতি হয়েছে। নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ এবং আগামীকাল সতর্ক হওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


তিনি বলেন, অনেক গ্রামে জল ঢুকে গেছে। রাত ৮.৪৫ পর্যন্ত জোয়ার চলবে। তারপর ক্রমশ নামবে জলস্তর। ১৩৪টি বাঁধ ভেঙে গেছে। ৫ ফুট অর্থাৎ মানুষ সমান উঁচু ঢেউ উঠেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আজ রাতে খুব সতর্ক থাকতে হবে। জোয়ারের জল ঢুকে যাতে ক্ষতি না হয় দেখতে হবে। রাতে আরও বেশি জল ঢুকবে। প্রয়োজনে ক্লাব, স্কুলে মানুষদের নিয়ে আসতে হবে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন যাতে সমস্যায় না থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।এখনই কেউ ত্রাণ শিবির ছেড়ে বাড়ি ফিরবেন না। মানুষকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা হবে।কলকাতার যেসব জায়গায় জল উঠেছে, সেখানকার মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশকেও প্রচার চালাতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যের এজেন্সি একসঙ্গে কাজ করেছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।


মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৫ লক্ষের বেশি মানুষকে রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। ৩ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ১৫ লক্ষের বেশি মানুষকে রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত। পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রিলিফ ক্যাম্পে এসেও মাছ ধরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের।কলকাতার কালীঘাট, চেতলা, রাসবিহারীতে জল উঠেছে।


একইসঙ্গে তিনি বলেন, আগামীকালও বানের জল ঢুকতে পারে। সেজন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিতে হবে। নোনাজল ঢুকে যাওয়ায় কৃষির ক্ষতি হয়েছে। মৎস্যচাষেরও ক্ষতি হয়েছে। কোটাল এলে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। তড়িদাহত হওয়ার ঘটনা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নদীবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি হবে। নদীবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আরও জোর দিতে হবে। গাছ লাগিয়ে বাঁধকে শক্তিশালী করায় জোর দিতেও বলেছেন তিনি। বিদ্যাধরীর বাঁধভেঙে প্লাবিত হয়েছে। সেচব্যবস্থার ক্ষতি হওয়ায় কৃষির ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি জানান, কপ্টারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হবে। বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। পরিশ্রুত পানীয় জলের সরবরাহ বজায় রাখতে হবে।