নয়াদিল্লি: যাই যাই করেও যাওয়ার নাম নেই। দেশ জুড়ে ফের উদ্বেগ নোভেল করোনাভাইরাসকে ঘিরে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৪১ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ (COVID in India)। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৩৮৯। শনিবার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Corona Situation)।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে
শনিবার সকালে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাতে অতিমারির সূচনা থেকে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে খাতায় কলমে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেশের ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৯৪ হাজার ৩৪৯ নাগরিক।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৮৪১ জনের শরীরে। ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্রে এক জন করে মারা গিয়েছেন। দু'জনের মৃত্যু হয়েছে কেরলে। সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং গুজরাতে। অথচ একমাস আগেও পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কারণ ফেব্রুয়ারি মাসে দৈনিক গড় সংক্রমণ ধরা পড়ে ১১২ জনের শরীরে।
এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা যা, তা মোট সংক্রমণের নিরিখে ০.০১ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশে এই মুহূর্তে সুস্থতার হার ৯৮.৮০ শতাংশ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.১৯ শতাংশ। সরকারি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২২০ কোটি ৬৪ লক্ষ কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের।
তবে নতুন করে সংক্রমণবৃদ্ধিতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের ছয় রাজ্যকে আলাদা করে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। ভাইরাল সংক্রমণে আচমকা বৃদ্ধি ঘটায় সতর্ক করা হয়েছে তাদের। যে ছয় রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল-মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, কেরল এবং কর্নাটক। সময় থাকতে সংক্রমণ পরীক্ষা, চিকিৎসা, রোগী শনাক্তকরণ এবং টিকাকরণে জোর দিতে বলা হয়েছে।
কিছু রাজ্যে সংক্রমণ বেশি তুলনামূলক ভাবে
ছয় রাজ্যকে দেওয়া চিঠিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ভাইরাল সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, আগে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কিছু রাজ্যে সংক্রমণ বেশি তুলনামূলক ভাবে। অর্থাৎ স্থানীয় রোগীদের মারফতই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই কড়া হওয়া প্রয়োজন। ছয়টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে কোভিড নিয়ে নতুন করে সতর্কতা বাড়াতে।