চণ্ডীগড়: টানটান উত্তেজনা, নাটকীয় পট পরিবর্তন। দিনভর সেই নিয়ে ওঠাপড়া। শেষ মেশ গ্রেফতার হলেন পঞ্জাবের খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাকামী নেতা তথা স্বঘোষিত শিখ ধর্মগুরু অমৃতপাল সিংহ (Amritpal Singh Arrested)। পঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, কার্যত ধাওয়া করে এনে অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পঞ্জাব পুলিশের বিশেষ দল, সাত জেলার পুলিশকর্মী এবং আধা সেনার সহায়তায় গ্রেফতার করা গিয়েছে তাঁকে (Punjab News)।


জলন্ধরের শাহকোট তেহসিলের উদ্দেশে গাড়িতে চেপে রওনা দিয়েছিলেন অমৃতপাল


পঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, জলন্ধরের শাহকোট তেহসিলের উদ্দেশে গাড়িতে চেপে রওনা দিয়েছিলেন অমৃতপাল। সেই অবস্থায় তাঁকে ধাওয়া করা হয়। শেষ মেশ মেহতপুরে এনে ফেলা হয় তাঁকে। গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলে পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয় শাহকোটমুখী সব রাস্তা। তার পরই অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হয়। 


অশান্তি আঁচ করে অমৃতপালের গ্রাম, অমৃতসরের জাল্লুপুর খৈরাতেও প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নামানো হয় আধা সেনাও। গোটা গ্রাম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনিতে সশস্ত্র অনুগামীদের নিরাপত্তায় পরিবেষ্টিত হয়েই বাইরে বেরোন অমৃতপাল। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। অমৃতপালের ছয় সহযোগীকেও আটক করেছে পুলিশ।  


আরও পড়ুন: IAF Agniveer Vayu 2023: 'অগ্নিবীর বায়ু' পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন শুরু, কীভাবে পূরণ করবেন ফর্ম ?


সূত্রের খবর, ঢের আগেই অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হতো। কিন্তু জি-২০ সম্মেলন শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল রাজ্য সরকার। সেই মতো প্রস্তুতি শুরু হয়। অশান্তি যাতে না ছড়ায়, তার জন্য রবিবার দুপুর পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে গোটা পঞ্জাবে। পঞ্জাব পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই রাজ্যবাসীকে সতর্ক করা হয়েছ। রাজ্যে শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখার আর্জি জানানো হয়েছে ট্যুইট করে। অযথা আতঙ্কিত হওয়া, ঘৃণা ভাষণ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। ভুয়ো খবর থেকে যাতে অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্যই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত।


'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' নামের একটি চরমপন্থী  সংগঠনও চালান অমৃতপাল। অভিনেতা তথা সমাজকর্মী দীপ সিধু ওি সংগঠনের সূচনা করেন। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দীপের। তার পর থেকে অমৃতপালের হাতেই সংগঠনের রাশ। বিগত কিছু দিন ধরে তিনি পঞ্জাবকে তাতিয়ে তুলছিলেন বলে অভিযোগ। 


'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' নামের একটি চরমপন্থী  সংগঠনও চালান অমৃতপাল


এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবের পরিস্থিতি উত্তাল হয়েছিল। অমৃতপালের সহযোগী, অপহরণকাণ্ডে অভিযুক্ত লভপ্রীত সিংহে গ্রেফতারিতে প্রতিবাদ, আন্দোলন শুরু হয়। তাতেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অমৃতপাল। তাঁর অনুগামীরা তলোয়ার, বন্দুক নিয়ে রাস্তায় নামেন। ব্যারিকেড ভেঙে ঞ্জলায় একটি থানাতেও ঢুকে পড়েন তাঁরা। লক্ষপ্রীতের মুক্তির আশ্বাস আদায় করেন পুলিশের কাছ থেকে। তাতে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। ছয় পুলিশকর্মী, পুলিশের একজন সুপারিন্টেন্ডেন্টও আহত হন।