নয়াদিল্লি: ফের রেকর্ড হারে বৃদ্ধি দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫২ জন, বিগত সাত মাসের মধ্যে যা সর্বাধিক। শুধু তাই নয়, একদিন আগে দৈনিক সংক্রমণ যা ছিল, তার চেয়ে দ্বিগুণ মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।  এই গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে দেশে। (Daily COVID Updates)


নতুন করে করোনার প্রকোপ দেওয়ার পর থেকে তরতর করে বেড়ে চলেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। একদিন আগে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৩২৮, যার মধ্যে শুধু কেরলেই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৬৫। মারা গিয়েছিলেন একজন। তার পরই একধাক্কায় দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ৭৫২ হয়ে গেল। কেরলে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারাও গিয়েছেন চার জন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪২০। (Daily COVID Cases)


নতুন করে করোনার এই প্রকোপের নেপথ্যে রয়েছে নোভেল করোনাভাইরাসের নয়া রূপ, JN.1. গোয়াতেও ২১ জনের শরীরে JN.1 সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। নয়ডাতেও  একজনের শরীরের মিলেছে সংক্রমণ। এই মুহূর্তে কেরলেই সংক্রমিতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৮৭২।  গত চার সপ্তাহে গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমণে ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি চোখে পড়েছে বলে দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। এই চার সপ্তাহে মোট ৮ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যুর হারেও ৮ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। নতুন করে ৩ হাজার করোনা রোগী মারা গিয়েছেন।


আরও পড়ুন: Gujarat Lifts Liquor Ban: শুকনো মুখে থাকতে হবে না, আর ‘ড্রাই স্টেট’ নয় গুজরাত, সুরার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠল


করোনার নয়া রূপ JN.1-কে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট’ বলে উল্লেখ করেছে WHO. করোনার এই নয়া রূপ কতটা বিপজ্জনক, এখনও পর্যন্ত সম্যক ধারণা গড়ে ওঠেনি সেই নিয়ে। কিন্তু যেভাবে লাফিয়ে সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়ে চলেছে, তাতে অশনি সঙ্কেত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, সর্দি-কাশি হলেও আর হেলাফেলা করা যাবে না। শুধু সাময়িক অসুস্থতাই নয়, শরীরে করোনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব দেখে যাচ্ছে বলে মত তাঁদের। 


JN.1-কে ওমিক্রনেরই পরিবর্তিত রূপ বলে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।  তবে ওমিক্রন সেই নিরিখে প্রাণঘাতী ছিল না। JN.1 ওমিক্রনের মতো হলে ঠিক আছে, আর যদি তা না হয়, তাহলে যথেষ্ট চিন্তার কারণ রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এমনিতে কোনও ভাইরাস চরিত্রবদল করলে গোড়ার দিকে তার প্রভাব হয় মারাত্মক। দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। অ্যান্টিবায়োটিকও সেভাবে কাবু করতে পারে না তাকে। JN.1-ও একই ভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। একাধিক বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।