পুণে : রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি উৎপাদনের অনুমতি পেল সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া। আজ ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এই মর্মে অনুমতি দেয়। আপাতত সিরাম এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা, বিশ্লেষণ ও পরে উৎপাদন করবে। এমনই খবর সূত্রের।


Dr Reddy's Laboratories-এর তরফে প্রাথমিকভাবে গত ১৪ মে স্পুটনিক ভি-র প্রথম ডোজ দেওয়া হয় হায়দরাবাদে। রাশিয়ার এই ভ্যাকসিন এখন বিশ্বের ৬৫-টির বেশি দেশে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। তবে EU বা আমেরিকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এখনও স্পুটনিক ভি-কে অনুমোদন দেয়নি। 


এই মুহূর্তে ভারতে দুই ধরনের ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি হচ্ছে কোভ্যাকসিন এবং অন্যটি কোভিশিল্ড। কোভ্যাকসিন তৈরি করছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক। অন্যদিকে স্থানীয় স্তরে কোভিশিল্ড তৈরি করছে সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া। স্পুটনিক ভি-র কার্যকারিতা ৯১.৬ শতাংশ।


সোভিয়েত আমলের স্যাটেলাইটের নামে এই ভ্যাকসিনের নামকরণ করা হয়েছে স্পুটনিক। গত বছর অগাস্টে রাশিয়ায় ছাড়পত্র পায় স্পুটনিক। এর ট্রায়াল রেজাল্ট প্রকাশিত হয় মেডিক্যাল জার্নাল- দ্য ল্যানসেট-এ। তাতে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের কার্যকারিতা ৯০ শতাংশের বেশি।


রাশিয়ায় আরও একটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে- স্পুটনিক লাইট। এটাই হতে পারে ভারতে ব্যবহৃত প্রথম সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন। এনিয়ে সরকার ও রেগুলেটরের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে Dr Reddy's। 


প্রসঙ্গত, রাশিয়ার মস্কোর গামালেয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির সঙ্গে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন তৈরি করবে পুণের সিরাম ইন্সটিটিউট। বৃহস্পতিবারই এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমোদন চেয়ে DCGI-এর কাছে আবেদন করেছিল সিরাম ইন্সটিটিউট। যদিও এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের আগে সিরামের কাছে চারটি শর্ত রাখে DCGI। সেল ব্যাঙ্ক ও টেকনোলজি ট্রান্সফার এবং ভাইরাস স্টক নিয়ে সিরাম ও গামালেয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির চুক্তির কপি জমা করতে বলা হয়। তার পর আজ এই অনুমোদন।


এদিকে সিরামের তরফে ইতিমধ্যে সরকারকে জানানো হয়েছে, জুন মাসে ১০ কোটি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং সরবরাহ করতে পারবে তারা। এর পাশাপাশি তারাও Novavax ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে। আমেরিকা থেকে এর রেগুলেটরি ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে সংস্থা।