মালদা: একেই করোনায় জেরবার দেশ। সেই আবহে গঙ্গায় ভেসে আসা মৃতদেহ ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল মালদায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, মৃতদেহগুলি করোনা আক্রান্তের। ভিনরাজ্য থেকে দু-জনের মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।
কার্যত শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য, কচুরিপানার মধ্যে ভাসছে মৃতদেহ। একটি নয়, পরপর দু’টি। একটি রয়েছে গঙ্গার পারের কাছাকাছি। অন্য এক জনের দেহ ভাসছে, পার থেকে কিছুটা দূরে, কচুরিপানার মধ্যে। করোনা আবহে গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার ভূতনিতে। রবিবার সকালে, ভূতনির কেশরতোলা ঘাটে অজ্ঞাতপরিচয় দু’জনের দেহ ভাসতে দেখেন গ্রামবাসীরা। সীতারাম মণ্ডল নামে এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, 'পরপর দু’টো বডি ভেসে গেল, চার-পাঁচ দিন ধরে এরকম হচ্ছে।'
বিহার, ঝাড়খণ্ড ও বাংলার সীমানাবর্তী এলাকা ভূতনি। সম্প্রতি, বিহার থেকে উত্তরপ্রদেশে গঙ্গার পাড় ধরে সার দিয়ে কোভিডে মৃতদের পচাগলা দেহ পড়ে থাকার ঘটনা সামনে আসে> তারপরই ভূতনিতে গঙ্গা থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। স্থানীয়দের আশঙ্কা, মৃতদেহগুলি করোনা আক্রান্তের। ভিনরাজ্য থেকে মৃতদেহ দুটি গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মালদা ভূতনির সিপিএম নেতা দেবজ্যোতি সিনহার কথায়, 'গ্রামবাসীরা বলছে, প্যাকেট করে দেহ ভেসে যাচ্ছে। একটি দেহ ধারে রয়েছে। একটি দেহ ভেসে গেছে।' মৃতদেহগুলি কোথা থেকে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছে, একটি ডেডবডি পেয়েছি, আরেকটা এখনও পাইনি। আমরা নদীতে দেখছিলাম। এদিন পেয়েছি। এখানে কোভিড বিধি মেনেই শেষকৃত্য হচ্ছে, অন্য রাজ্য থেকে আসার চান্স বেশি।'
মালদার জেলাশাসক জানিয়েছেন, 'একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে সৎকার করা হচ্ছে। ডিএনএ টেস্ট করা হবে। কীভাবে মৃতদেহগুলি গঙ্গায় এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় মৃতদেহ উদ্ধারের পরপরই, এরাজ্যেও মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে বলে, প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।