কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গে দল তৃণমূলের কাছে পরাস্ত হওয়ার পর পরই সরব হয়েছিলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। একাধিক ট্যুইটে বঙ্গ-বিজেপির দায়িত্বে থাকা "KDSA"-কে (বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) শিব প্রকাশ ও কেন্দ্রীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন) দোষারোপ করেছিলেন। মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগের পরও কৈলাসের বিরুদ্ধে ঝাঁঝ বজায় রাখলেন তথাগত। 


নাম না করে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে আক্রমণ করে ট্যুইট করেন তিনি। একটি ট্যুইটকে রিট্যুইট করে বিজেপি নেতার কটাক্ষ, কিছু যোগ-বিয়োগ করে একজন একনিষ্ঠ বিজেপি সমর্থকের ট্যুইটের অনুবাদ করেছি। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্টি(বুয়াজি) সম্বোধনে নাম না করে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে কটাক্ষ করে তথাগত রায় লেখেন, এই বোকা বিড়ালটাকেও তৃণমূলে নিয়ে নিন। ও বোধহয় বন্ধুকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছে। কারণ সারাদিন ওরা দুজনে একসঙ্গে থাকত। মুকুল-কৈলাসের ছবি পোস্ট করে এই ট্যুইট করেন তথাগত রায়।


এর আগে মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগের জল্পনা চলাকালীন এবং তাঁর বিজেপি ত্যাগের পর সরব হয়েছিলেন তথাগত রায়। প্রথমে ট্যুইটারে বিজেপি নেতা লিখেছিলেন, মল মূত্র ত্যাগ করলে মানুষ দুর্বল হয় না, সবলই হয়। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা যে সব নেতা আবার তৃণমূলে ফিরে গেছেন, তাঁদের সম্পর্কে প্রয়াত সিপিএম নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের এই মন্তব্য টুইটে তুলে ধরেন তথাগত।


এছাড়া শুক্রবার মুকুল রায়ের দল ছাড়ার প্রসঙ্গে ট্যুইটারে তিনি লিখেছিলেন, "আমরা সবার গ্রিকদের ব্যবহৃত ট্রোজান হর্সের কথা জানি। গ্রিকরা তা ব্যবহার করে ট্রয় নগরীতে ঢুকে যুদ্ধ জয় করেছিল। বোঝাই যাচ্ছে মুকুল রায় সেই ট্রোজান হর্স। বিজেপিতে এসে উনি দলের সর্বভারতীয় নেতাদের সংস্পর্শে আসেন। দলের ভিতরের সব কথা জেনে নেন। ফিরে গিয়ে উনি মমতাকে সব কথা ফাঁস করে দিয়েছেন।"


প্রসঙ্গত, বিজেপিতে থাকাকালীন কৈলাসের সঙ্গে সখ্যতা ছিল মুকুলের। মুকুলের বিজেপি-ত্যাগের পর তাই সেই ইস্যুতে নাম না করে কৈলাসকে খোঁচা দিলেন তথাগত।