ভারত বায়োটেক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, “টিকা নেওয়ার ৯ দিন পর ওই স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যালোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এই মৃত্যুর সঙ্গে পরীক্ষামূলক ভাবে দেওয়া ডোজের কোনও সম্পর্ক নেই।” ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছে ভোপালের গাঁধী মেডিক্যাল কলেজ। তারা জানিয়েছে, গত বছর ২১ ডিসেম্বর ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য শারীরিকভবে সুস্থ ছিলেন তিনি। ভ্যাকসিন নেওয়ার ৯ দিন পর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর সঙ্গে টিকার যোগ পাওয়া যায়নি।
এই রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে ভারত বায়োটেক বলেছে, ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এর সঙ্গে টিকার সম্পর্ক নেই। পুলিশের অনুমান, ওই ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে বিষক্রিয়ার যোগ আছে। কেন মৃত্যু, তার তদন্ত করছে পুলিশ।
গত বছর ১২ ডিসেম্বর স্বেচ্ছায় টিকা নেন ভোপালের যুবক দীপক মরাবি। হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’-এর তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের পিপলস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল টিকা নিয়েছিলেন বছর ৪২-এর ওই ব্যক্তির। এরপর ২১ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর।
এদিকে করোনা মহামারী মোকাবিলায় ভারতে দুটি ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই। বছরের শুরুতে সিরাম ইন্সস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ও ভারত বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে ১৬ জানুয়ারি। আর এই আবহে স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সারা দেশে।