কলকাতা : জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে ফরাক্কার ইঞ্জিনিয়ারের। ময়নাতদন্তে এমনই রিপোর্ট উঠে এসেছে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজভবনের সামনে জলমগ্ন রাস্তায় মৃত্যু হয় তরুণ ইঞ্জিনিয়ার ঋষভ মণ্ডলের।
গতকাল শহরে নাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। রাজভবনের নর্থ গেটের সামনেও জমে হাঁটু সমান জল। বৃষ্টি থামার পর সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ জমা জলের মধ্যেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ঋষভ। তখনই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎই একটি লাইটপোস্টের পাশে পড়ে গিয়ে ছটফট করতে থাকেন ঋষভ। তারপরই সব শেষ। লাইটপোস্টের খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
পেশায় ইঞ্জিনিয়র ঋষভ কলকাতার হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে এবং বিকেলে অফিস থেকে বেরনোর পরও বাড়িতে ফোন করেছিলেন তিনি। তারপরই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। টিভির পর্দায় ঘটনার খবর দেখার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে ফরাক্কার এনটিপিসি আবাসনের মণ্ডল পরিবার। ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসেন সিইএসসি-র কর্মীরা। তাঁরা লাইটপোস্টের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেন। যদিও, বিদ্যুৎস্পৃষ্টের অভিযোগ মানতে চায়নি সিইএসসি। সেখানে কোনও খোলা তার ছিল না বলে দাবি করেন তাঁরা।
ঘটনায় মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যুবকের মৃত্যুতে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখতে আজ ঘটনাস্থানে যায় ফরেন্সিকের একটি দল। তারা সবকিছু খতিয়ে দেখে।
মৃতের পরিবারের বক্তব্য, অফিস থেকে বেরনোর পর প্রতিদিনই মা-কে ফোন করে। হাল্কা বৃষ্টি পড়ায় ঋষভকে ট্যাক্সি করে নিতে বলে তার মা। এই ২৫ বছর বয়স। সবে মাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে কাজে যোগ দিয়েছিল সে। প্রশাসনিক উদাসীনতার জন্যই এভাবে রাস্তায় তার পড়েছিল।