গাজা : অশান্তি অব্যাহত ! রকেট হানায় বিধ্বস্ত গাজা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইজরায়েলের একাংশও। মিশর মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি কিছুই। সব মিলিয়ে পুরোপুরি যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে প্যালেস্তাইন-ইজরায়েলের পরিস্থিতি।
সোমবার ভোররাতে শুরু হলেও এখনও থামার নাম নেই। প্যালেস্তাইন-ইজরায়েলের রকেট হানায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ইজরায়েলের রকেট হানায় মৃত্যু হয়েছে তাদের ১০৩ জনের। যার মধ্যে ২৭ জন শিশু রয়েছে। অলজজিরার রিপোর্ট বলছে, আহতের সংখ্যা ৫৮০ ছাড়িয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মূলত, উত্তর গাজার একাংশকে নিশানা করেছে ইজরায়েল। বহু বাড়িকে টার্গেট করে চলেছে লাগাতার বোমা বর্ষণ। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হামাস গোষ্ঠীর একাধিক ঘাঁটি। তবে চারদিন কেটে গেলেও সংঘর্ষ বিরতির নাম নিচ্ছে না কোনও পক্ষই। বৃহস্পতিবারই ইদ-উল-ফিতরের প্রথম দিন ছিল প্যালেস্তাইনে। কিন্তু উৎসবের মাঝেই চলেছে হিংসার হানাদারি।
এদিকে, ইজরায়েলের মিলিটারি ট্যুইট করে জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে তাদের দিকে তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে ঠিক কোথা থেকে এই রকেটগুলি ছোড়া হয়েছে, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট নয় ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। মনে করা হচ্ছে, উত্তর ইজরায়েলে রাশিদিয়া রিফিউজি ক্যাম্প থেকে এই রকেটগুলি ছোড়া হয়েছে।
'টাইমস অফ ইজরায়েল'-এর প্রতিবেদন বলছে, অসডেডা, অসকেলোন শহরে ১২টারও বেশি রকেট হামলা হয়েছে। যদিও এই হামলার বেশিরভাগই রুখে দিয়েছে ইজরায়লের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। সম্প্রতি ইজরায়েলের এয়ারপোর্টে হানার হুমকি দেয় হামাসগোষ্ঠী । এরপরই বেন গুরিয়ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দেয় ইজরায়েল। ইলিয়টস রামোন এয়ারপোর্ট দিয়ে যাত্রীদের আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইজরায়েলি মিলিটারির তরফে জানানো হয়েছে, ১৭৫০টা রকেট গাজা ভূখণ্ড থেকে ইজরায়লের দিকে ছোড়া হয়েছে। যার মধ্যে ৩০০ রকেট বিফলে গেছে। গাজা ভূখণ্ডেই পড়েছে সেগুলি।
সম্প্রতি জেরুজালেমে প্যালেস্তিনিয়দের উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। অল-অকসা মসজিদে অভিযান চালায় ইজরায়েলি সেনা। যার জেরে প্যালেস্তিনিয়দের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষে বাঁধে। যাতে বহু প্যালেস্তিনিয় ও পুলিশ আধিকারিক আহত হন। অল-অকসা মসজিদে ইজরায়েলি সেনার এই হানার বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার হুমকি দেয় হামাস। যার পরই জটিল হয়ে দাঁড়ায় পরিস্থিতি।