কলকাতা: জীবনের জটিল পরিস্থিতি, সেখান থেকে লড়াই করে বেরিয়ে আসা, ঘাত প্রতিঘাত.. অন্যের পরিস্থিতি দেখে কখনও মনে হয়েছে ওই পরিস্থিতিতে থাকতে আপনি কী করতেন? স্টার জলসায় শুধু হচ্ছে নতুন শো, আপনি কী বলেন? এই শোয়ের সঞ্চালনার দায়িত্বে রয়েছেন দেবশঙ্কর হালদার (Debshankar Haldar)। তিনিই কখনও কখনও জমিয়ে দেবেন তর্ক, কখনও আবার পথ দেখাবেন।
'বিপন্ন অবস্থা তৈরি হচ্ছে'
তিনি নিজে একজন অভিনেতা। সাধারণ মানুষ যেখানে আবেগের কথা বলছে, হাসছে, কাঁদছে, ভাসছে আনন্দে একজন অভিনেতার পক্ষে নিজের আবেগকে সংযত রেখে এই ধরণের শো সঞ্চালনা করা কতটা কঠিন? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে দেবশঙ্কর হালদার বলছেন, 'আমি একজন মানুষ, সর্বোপরি একজন অভিনেতা। আমি আবেগে ভাসতে ভালোবাসি। আমি অনুভূতি লুকোই না। তবে যখন আমি এই ধরণের কোনও শো সঞ্চালনা করছি, তখন সাদাকে কালো আর কালোকে সাদা বলে দর্শককে একটু গোলমালে ফেলে দিতে পারলে তর্কটা জমে ভালো। সবাই যখন সাদার দলে তখন আমি কালোর দলে গিয়ে দর্শকদের আরও একটু বিভ্রান্ত করতে চাইছি। কিন্তু এই কাজটা খুব একটা সহজ নয়। যখন আমি এমন করে সবটা ঘেঁটে দিতে চাইছি, তখন উল্টোদিকে দেখছি একজন মা, একজন পিতা, একজন আঘাত পাওয়া মানুষ, তার চোখ ছলছল করছে। তখন আমার মনে হচ্ছে আমিও ওর দলে চলে যাই। আসলে জীবনের জটিলতাগুলো তো একবগ্গা নয়। আমার মধ্যে সেই সময়ে একটা বিপন্ন অবস্থা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু অনুষ্ঠানটা আমায় সঞ্চালনা করতে হচ্ছে, তাই সাদা আর কালো, ভালো মন্দ, ঠিক ভুল, এই দুটোকেই আমি আত্মীয় বানিয়ে নিয়েছি। কারণ এই সবগুলোই সত্য।'
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যেই দাম, খাস কলকাতাতেই মিলছে 'বেলাশুরু' সন্দেশ, তালশাঁস
এরপরেই একটা ভারি সুন্দর উদাহরণ দিলেন দেবশঙ্কর। বললেন, 'আমরা মঞ্চকে অনেক ভাগে ভাগ করি। আমি যখন মঞ্চের একেবারে মাঝখানে দাঁড়াই, তখন আমি বা আমার সোজাসুজি যিনি বসে রয়েছেন তিনি একমাত্র আমায় মঞ্চের মাঝখানে দেখতে পান। কিন্তু যিনি একেবারে কোণাকুণি বসে রয়েছেন, তাঁর কাছে আমিও এক কোণে দাঁড়িয়ে রয়েছি। ফলে দুটোই সত্যি।