নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে ট্যুইট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তিনি দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করেছেন। শুক্রবার পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) দুর্ঘটনাগ্রস্ত ঈদ স্পেশাল বিমানের যাত্রী ও ক্রু সদস্য মিলিয়ে ১০৭ জন ছিলেন। একজনও বেঁচে নেই। তবে বিমানটি করাচি এয়ারপোর্ট সংলগ্ন আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে ধাক্কা মেরে ভেঙে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে জখম হয়েছেন বলে খবর।
প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেছেন, পাকিস্তানে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে গভীর ভাবে ব্য়থিত। মৃতদের পরিবারবর্গের প্রতি রইল আমাদের সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।


এদিন করাচির জিন্না ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের কাছে ৯৯ যাত্রী ও ৮ জন ক্রু সদস্যকে নিয়ে ধ্বংস হয় বিমানটি। সকলেই মারা গিয়েছেন বলে জানান করাচির মেয়র ওয়াসিম আখতার।
বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও অবিলম্বে তদন্ত শুরু হবে বলে জানান। তিনি ট্যুইট করেন, পিআইএ-র বিমান দুর্ঘটনায় স্তম্ভিত, শোকস্তব্ধ। পিআইএ-র সিইও আর্শাদ মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তিনি করাচি রওনা হয়েছেন। ত্রাণ, উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। এটাই এখন সবচেয়ে বেশি দরকার। এখনই তদন্ত শুরু হবে। মৃতদের পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানাই।
নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কয়েক সপ্তাহ লকডাউনের পর পাকিস্তানের অসামরিক উড়ান কর্তৃপক্ষ সীমিতসংখ্যক ঘরোয়া উড়়ান ফের চালুর অনুমতি দেয়। তারপরই পিকে ৮০৩ ফ্লাইটটি আজ লাহোর থেকে করাচির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। তার চালক ছিলেন ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ গুল। শুক্রবারই পাকিস্তানে ২২ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত ঈদের ছুটি ঘোষণা করে দেশের অভ্যন্তরীণমন্ত্রক। সেদিনই ঘটল বিমান দুর্ঘটনা।