ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরে অবতরণের প্রাক মুহূর্তে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) বিমান ভেঙে পড়ে যাত্রী ও ক্রু সদস্যসহ শতাধিক লোকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে। এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটি রওনা হয় লাহোর থেকে। ছিলেন ৯৯ জন যাত্রী, ৮ জন ক্রু সদস্য। বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে বের করা হচ্ছে একের পর এক মৃতদেহ।


ঘটনাটি ট্র্যাজিক বলা হচ্ছে, কেননা পাকিস্তানে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চালু লকডাউন উঠে যাওয়ার পর এটাই ছিল প্রথম যাত্রীবাহী উড়ান। দুর্ঘটনার কারণ যান্ত্রিক ক্রুটি। বিমানের গিয়ার অবতরণের আগে না খোলায় সেটি বিমানবন্দরের নিকটবর্তী আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে ধাক্কা মেরে ভেঙে পড়ে। টুকরো টুকরো হয়ে সেটি পড়ে সেখানে পার্ক করে রাখা একাধিক গাড়ির ওপর। আগুন ধরে যায় গাড়িগুলোয়।
পাকিস্তানি মিডিয়ার খবর, বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার একেবারে আগের মুহূর্তে তার চালকের শেষ কথার রেকর্ডিং পাওয়া গিয়েছে। তাতে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, একটা ইঞ্জিন খারাপ হয়ে গেল। মেডে, মেডে। এটি আসলে কোড। বিমান চালাতে চালাতে আচমকা গভীর বিপদে পড়লে এই কোড ব্যবহার করেন পাইলটরা। বিমান চরম বিপর্যয়ে পড়েছে, ভেঙে পড়ার মুখে, এটা বোঝায় এই কোড। মামুলি, ছোটখাট বিপদের সময় নয়, মে ডে কোড প্রয়োগ করা হয় একেবারে বিরল ক্ষেত্রে, যখন কোনওভাবেই বিপদ এড়াতে পারা যাচ্ছে না, বুঝতে পারেন বিমানচালক। সঙ্গে সঙ্গে চরম বিপর্যয়, ক্ষতি অনিবার্য মাথায় রেখেনীচে অর্থাত মাটিতে শুরু হয়ে যায় চরম তত্পরতা। এদিনও বিমান দুর্ঘটনা এড়ানোর কোনও রাস্তাই ছিল না চালকের সামনে।