Defence Ministry Update: মিথ্যে নয় সত্যি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানে আছড়ে পড়ল ভারতের মিসাইল। ঘটনার সত্যতা নিজেই স্বীকার করেছে নয়াদিল্লি।


ভারতের মিসাইল পাকিস্তানের মাটিতে আছড়ে পড়া প্রসঙ্গে মুখ খুলেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। বিবৃতি দিয়ে মন্ত্রক জানিয়েছে, এটা নিছকই দুর্ঘটনা।গত ৯ মার্চ নিয়ম মেনে রক্ষণাবেক্ষণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মিসাইল ফায়ার হয়ে যায়। ভারত সরকার এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। এই ঘটনায় আদালতের তত্বাবধানে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে।সরকারি বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এটা দেখা গিয়েছে যে, এই মিসাইলটি পাকিস্তানের এলাকায় গিয়ে পড়েছে। তবে এটাও স্বস্তির যে ওখানে এই দুর্ঘটনার ফলে কোনও মানুষের প্রাণ যায়নি।


পাকিস্তানের মতে, ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের আকাশসীমার ১০০ কিলোমিটারের বেশি ঢুকে আসে। শব্দের তিনগুণ গতি নিয়ে ৪০,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়ে শেষে মাটিতে আছড়ে পড়ে এই মিসাইল। তবে মিসাইলটিতে কোনও ওয়ারহেড না থাকায় বিস্ফোরণ ঘটেনি। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক এই ঘটনার জন্য ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতের দায়িত্বপ্রাপ্তকে তলব করেছে। ভারতের মিসাইল পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের প্রতিবাদ করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান এই ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মতে, এই ঘটনায় যাত্রীবাহি বিমান ছাড়াও নাগরিকের জীবন 
বিপন্ন হতে পারত।


ইতিমধ্যেই ভারতকে এই দুর্ঘটনার বিষয়ে সতর্ক করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ বলেছে, এই ধরনের অবহেলার অপ্রীতিকর পরিণতি হতে পারে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে নয়াদিল্লিকে। এই প্রসঙ্গে পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র মেজর-জেনারেল বাবর ইফতিখার বলেন,  একটি  উচ্চ গতির উড়ন্ত বস্তু তার শহর মিয়া চান্নুর কাছে ধ্বংস হয়েছে। এটি হরিয়ানার শহর সিরসা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। পরবর্তীকালে যা পাকিস্তানের মাটিতে আছড়ে পড়ে। 


এই ঘটনাটি সামরিক বিশেষজ্ঞদের অবাক করেছে। কারণ, একটি মিসাইল সিস্টেমে ফায়ারিংয়ের একটি প্রস্তুতি প্রক্রিয়া থাকে। যেখানে প্রথমে লক্ষ্য চিহ্নিতকরণ ও একাধিক সুইচ টগল করার পর তবেই মিসাইল ছোড়া যায়। সেইখানে দাঁড়িয়ে কীভাবে এই মিসাইল দুর্ঘটনাবশত পাকিস্তানে চলে গেল, তা হতবাক করছে বিশেষজ্ঞদের।