নয়াদিল্লি: আশির দশকের মাঝামাঝি বোফর্স রাইফেল নিয়ে যে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক হয়েছিল তার ফলে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাফাল মাল্টি রোল জেটের অবস্থা যাতে বোফর্সের মত না হয়, তাই এই চুক্তি প্রকাশ্যে সমর্থন করেন তিনি। জানালেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া।

বোফর্স চুক্তিকে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল ভারতের রাজনীতি। রাজীব গাঁধী ভোটে হেরে যান, ক্ষমতায় আসে বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংহ সরকার। সেই বিতর্কে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণে বিরাট ধাক্কা লাগে, সামরিক প্রয়োজনে কেনাকাটা সংক্রান্ত কোনওরকম চুক্তিতে যেতেই কূটনীতিকরা ভয় পাচ্ছিলেন। ধানোয়া বলেছেন, তিনি চাননি, রাফালের অবস্থাও বোফর্সের মত হোক। সামরিক প্রয়োজনে চুক্তি নিয়ে রাজনীতিকরণের তাঁরা ঘোরতর বিরোধী। রাফালে বায়ুসেনার ক্ষমতাবৃদ্ধির প্রশ্ন, তাই তা তিনি প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন।

৫৯,০০০ টাকায় ফ্রান্স থেকে ৩৬টি রাফাল ক্রয় চুক্তির প্রায় ৪ বছর পর বুধবার ভারতে এসেছে প্রথম ব্যাচের ৫টি যুদ্ধ বিমান। ১৯৯৭-এ রাশিয়া থেকে সুখোই-৩০কে কেনার ২৩ বছর পর নয়া যুদ্ধবিমান পেল ভারতীয় বায়ুসেনা। ধানোয়া বলেছেন, রাফাল বায়ুসেনাকে এক লাফে বিরাট ক্ষমতাশালী করে দিল, প্রযুক্তির দিক থেকেও দূর হল দীর্ঘদিনের খামতি। এতে তিনি অত্যন্ত খুশি। আর এক প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহার আমলে রাফাল চুক্তি হয়। তিনিও বলেছেন, রাফাল ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতাবৃদ্ধি করল, তবে তাঁর মতে, ৩৬টি নয়, অন্তত ১২৬টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান দরকার।

ধানোয়া ও আর এক প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান হোমি মেজর এক বাক্যে বলেছেন, রাফাল চিনের রে-২০ যুদ্ধবিমানের থেকে অনেক এগিয়ে। জে-২০ আসলে কেমন তা বিশ্ব জানে না, জানা সম্ভবও নয়। রাফাল অনেক উন্নত, বলেছেন মেজর।