লন্ডন: যতদিন যাচ্ছে, তত সামনে আসছে করোনা নিয়ে একের পর এক চমকপ্রদ দাবিদাওয়া। ইংল্যান্ড, নরওয়ে এবং আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী এবার দাবি করেছেন, লম্বা হলে করোনার ভয় বেশি। আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের ২০০০ মানুষের ওপর তাঁরা গবেষণা চালান, দেখেন, করোনা জীবাণু ছড়াচ্ছে বাতাসে। আর বেশি উচ্চতার ব্যক্তিদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি অপেক্ষাকৃত খর্বাকৃতিদের থেকে।


করোনার আতঙ্ক গোটা বিশ্বের ওপর যত জাঁকিয়ে বসছে, তত সামনে আসছে নতুন নতুন খবর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বাতাসে করোনা ছড়ায় বলে মেনে নেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এবার ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও নরওয়ের একদল বিজ্ঞানী আরও কিছু বিষয় সামনে এনেছেন যা সত্যি হলে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাঁদের বক্তব্য, বাতাসে ছড়ানো করোনা জীবাণু থেকে দীর্ঘদেহীদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এক গবেষণাপত্রে তাঁরা দাবি করেছেন, উচ্চতা ৬ ফুটের মত বা তার বেশি হলে করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এর কারণ হল, বাতাসের ধূলিকণায় করোনা জীবাণুর ঘোরাফেরা। কোনও আক্রান্তের নাক মুখ থেকে জলের ফোঁটা বার হলে তা কিছুটা দূরত্ব পর্যন্ত বাতাসে ভাসবে যতক্ষণ না মাধ্যাকর্ষণ তা মাটিতে ফেলছে।

কিন্তু যে ফোঁটা আরও ক্ষুদ্র, তা অনেক বেশি সময় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। ফলে তা থেকে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। যে সব জায়গায় খুব বেশি হাওয়া চলাচল করে না, সে সব জায়গায় এই সব কণা বন্দি থাকে। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইভান কন্টোপ্যান্টেলিস জানিয়েছেন, তাঁদের সমীক্ষা বলছে, শুধু মাটির দিকে নামা ফোঁটা থেকে নয়, বাতাসের কণা থেকেও করোনা ছড়াতে পারে। ফলে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং জরুরি হলেও মাস্ক পরে তেমন কিছু করোনা রোখা যায় না। ছোট বদ্ধ জায়গার বাতাস পরিষ্কার রাখা বরং বেশি জরুরি।

যদিও আরও গবেষণা না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব নয়। ততদিন অবধি মাস্ক পরুন, সুরক্ষিত থাকার চেষ্টা করুন।