Delhi News: দিল্লির স্বঘোষিত গডম্যানের একের পর এক কুকীর্তির কথা প্রকাশ্যে আসছে। আর তা শুনে আঁতকে উঠছেন সাধারণ মানুষ। স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতী ওরফে স্বামী পার্থসারথির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দিল্লির বসন্ত কুঞ্জের একটি বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সর্বেসর্বা এই 'বাবা'। সেখানকার অন্তত ১৭ জন ছাত্রী তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। ৬২ বছরের এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই ১৭ জনের সকলেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। আগেই শোনা গিয়েছে যে, আর্থিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণি থেকে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে আসা অভাবী ছাত্রীদের নিশানা করতেন এই 'বাবা'। এবার প্রকাশ্যে এসেছে যে ছাত্রীদের হস্টেলের ঘরে ক্যামেরা লুকিয়ে রাখতেন তিনি।
NDTV সূত্রে খবর, এফআইআর - এ বলা হয়েছে অনেক রাতে ছাত্রীদের নিজের ঘরে ডেকে পাঠাতেন স্বামী চৈতন্যনন্দ। এমনকি বিনা খরচে বিদেশ ভ্রমণের টোপও দেওয়া হতো। এমনকি এফআইআর- এও বলা হয়েছে যে এক ছাত্রীকে তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে নাম পরিবর্তনে বাধ্য করেন এই স্বঘোষিত গডম্যান। পলাতক অভিযুক্তের খোঁজে জোরকদমে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। গুণের কোনও শেষ নেই দিল্লির এই 'বাবা'- র। Indian Express সূত্রে খবর, বছর ২১- এর এক ছাত্রী, যিনি নিজেই শিকার হয়েছিলেন স্বামী চৈতন্যনন্দের অভব্য আচরণের, এফআইআর- এ অভিযোগ করেছেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে আপত্তিকর মেসেজ পাঠাতেন। তাঁর 'লুকস' নিয়ে মন্তব্য করতেন তিনি। এই অভিযোগকারিণীর দাবি, স্বামী চৈতন্যনন্দ যখন ওই প্রতিষ্ঠানের চ্যান্সেলর ছিলেন, সেই সময় তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় ছাত্রীর। গত বছর আবার অভিযুক্ত 'বাবা' বসন্ত কুঞ্জের ওই সংস্থার চেয়ারম্যানও ছিলেন।
এফআইআর- এ নিজের অভিযোগে এই তরুণী জানিয়েছেন, স্বামী চৈতন্যনন্দ তাঁর দিকে অশালীন ভাবে তাকিয়ে থাকতেন। প্রথমবার সাক্ষাতের সময় থেকেই এমনটা ঘটেছিল। তরুণী আরও জানিয়েছে, চোট পেয়েছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে মেডিক্যাল রিপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য স্বামী চৈতন্যনন্দকে মেসেজ করেছিলেন তিনি। তার জবাব এসেছিল খুব অদ্ভুত সময়ে। অভিযোগকারিণীর দাবি, স্বামী চৈতন্যন্দ তাঁকে মেসেজে লিখেছিলেন, 'Baby, I love you. I adore you, you are looking beautiful today'। তরুণী তার জবাব না দেওয়ায় মেসেজ ট্যাগ করে উত্যক্ত করা হয় তাঁকে। এমনকি ছাত্রীর চুল নিয়েও অভিযোগ ছিল স্বামী চৈতন্যনন্দের। এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের উচ্চস্তরে জানানো হলে সেখান থেকে ছাত্রীকে বার্তা দেওয়া হয়, তাঁর জবাব দেওয়া উচিৎ ওই মেসেজের। এমনকি আরও অনেক ছাত্রীকেই নাকি এমনটা বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ জানিয়েছেন এই ছাত্রী।