এমনটা যে হতে পারে, দুঃস্বপ্নেও কল্পনা কল্পনা করতে পারেননি কেউ। ভর সন্ধেয় লাল কেল্লার মতো হাই সিকিউরিটি এলাকায় এভাবে একগাড়ি বিস্ফোরক নিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালাবে সন্ত্রাসবাদী। তবে এই দুঃস্বপ্ন আরও সাঙ্ঘাতিক ঘটতে পারত যদি জঙ্গিদের এই প্ল্যানটাও সফল হয়ে যেত। আত্মঘাতী বোমারু উমরের আরেক সহযোগীকে গ্রেফতার করার পর চাঞ্চল্যকর কিছু প্রমাণ উঠে এসেছে এনআইএ- হাতে । এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, কতটা খতরনাক পরিকল্পনা ছিল এই হোয়াইল কলার মডিউলে কাজ করা জঙ্গিদের। একেবারে হামাসের কায়দায় ভারতকে আকাশ থেকে ঝাঁঝরা করে দিতে চেয়েছিল তারা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইহুদিদের উৎসবের দিন ইজরায়েলের একাধিক শহরে হামাসের অতর্কিতে আক্রমণের কথা অনেকেরই মনে থাকবে। প্রথমে, ১৯ মিনিটে ৫ হাজার রকেট হামলা! তারপর হামাসের জঙ্গিরা প্যারাগ্লাইডারে চড়ে গাজা সীমান্তের ফেন্সিং ভেঙে ইজরায়েলে ঢুকে নির্বিচার গণহত্যা চালায়। সেই রকম ভাবেই ড্রোন থেকে হামলা করে যমুনার জল লাল করতে চেয়েছিল এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীরা।
জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী উমর উন নবির সহযোগী দ্বিতীয় সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করার পর এই ভয়ঙ্কর তথ্য হাতে পেয়েছে। সোমবার দিল্লি থেকে গ্রেফতার হওয়া প্রথম সন্দেহভাজন আমির রশিদ আলি বা জসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশকে শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেও জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা।
এনআইএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই দানিশের প্ল্যান ছিল ভয়ঙ্কর। সে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ড্রোন থেকে অস্ত্র ছোড়ার পরিকল্পনা করেছিল। এ বিষয়ে তার প্রযুক্তিগত ধারণাও ছিল বলেই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এনআইএ জানিয়েছে, সেদিন দিল্লিতে আত্মঘাতী হামলার পিছনে একা উমর নয়, ছিল কোনও পাকা মাথা! একাধিক সূত্র থেকে সেই খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এনডিটিভি এক সূত্র মারফৎ জানতে পেরেছে, ধৃত দানিশ ক্যামেরার পাশাপাশি ভারী বোমা বহন করতে পারে এমন বড় ব্যাটারিযুক্ত শক্তিশালী ড্রোন তৈরির চেষ্টা করেছিল। ছোট অস্ত্রযুক্ত ড্রোন তৈরিতে তার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাদের প্ল্যান ছিল কোনও জনবহুল জায়গার ওপরে ড্রোনথেকে অস্ত্রবর্ষণ করা। হামাস এবং সিরিয়ার একাধিক গোষ্ঠী এই কৌশল ব্যবহার করে। যদিও সন্ত্রাসবাদীরা ড্রোন হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই এখন যথেষ্ট সক্রিয় ভারতের ড্রোন হামলা আটকানোর কৌশল।